বাংলা হান্ট ডেস্ক: বঙ্গ রাজনীতির হেভিওয়েট নেতাদের মধ্যে একজন হলেন কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee)। ফের একবার শ্রীরামপুর কেন্দ্র থেকে জয়ী হয়েছে সাংসদ হয়েছেন তিনি। এবার সেই কল্যাণই জানালেন, তাঁকে কয়েকজন ক্রমাগত মেসেজ করছেন। কারা সেই ব্যক্তি? চাঞ্চল্যকর দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
কল্যাণকে (Kalyan Banerjee) কারা মেসেজ করছেন?
সম্প্রতি বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) বলেন, ED-CBI অথবা কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচনে জেতা যায় না। বালুরঘাটের সাংসদের বক্তব্যের সেই ভিডিও সম্প্রতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেন কল্যাণ। তৃণমূল নেতা লেখেন, ‘অন্তত সুকান্ত মজুমদার আসক সত্যিটা বুঝতে পেরেছেন’।
শ্রীরামপুরের সাংসদ বলেন, ‘বিজেপির যারা নেতা রয়েছেন বিরোধী দলনেতা বা সুকান্ত মজুমদার তাঁরা প্রত্যেকে ED, CBI-এর ভয় দেখিয়েছে। মানুষের কাছে আমরা সেটা তুলে ধরেছিলাম। এটা কখনও হয় না। মানুষ গ্রহণ করে না’। এখানেই না থেমে তিনি বলেন, একশো দিনের কাজের টাকা বন্ধ করার জন্য বিজেপির নেতা সাংসদরা বারবার দিল্লি গিয়েছেন। জনগণ সেটার জবাব দিয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ একুশে জুলাইয়ের আগেই ফিরছেন অভিষেক! সমাবেশে থাকবেন? সামনে এল চাঞ্চল্যকর আপডেট!
এরপরেই কল্যাণ (Kalyan Banerjee) বলেন, বিজেপির একাধিক নেতা ইতিমধ্যেই তৃণমূলে যোগ দিতে চেয়ে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন। শ্রীরামপুরের সাংসদের কথায়, ‘বিজেপির নানান জেলার সাংগঠনিক নেতারা তৃণমূলে আসার জন্য আমার ফোনে মেসেজ করেছেন। ওদের সংগঠন ভেঙেই যাবে। আগামী দেড় থেকে দুই বছরের মধ্যে সারা দেশে নরেন্দ্র মোদীর সরকার ক্ষমতাচ্যুত হবে’।
এদিকে যার বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এমন মন্তব্য করেছেন কল্যাণ সেই সুকান্ত বলেন, এই কথা তিনি নতুন বলছেন না। নির্বাচনের আগেও আমি বলেছি, ED, CBI নিজের কাজ করবে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেন, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই নিয়ে আনন্দিত হওয়ার কিছু নেই। আমরা রাজনীতি করতে এসেছি। সংগঠনকে আরও মজবুত করতে হবে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় এজেন্সি নিয়ে বিজেপিকে একাধিকবার নিশানা করেছে রাজ্যের শাসক দল। ED, CBI-এর ‘অপব্যবহারে’র মতো গুরুতর অভিযোগও তোলা হয়েছে। এবার এই নিয়েই সম্প্রতি মন্তব্য করেন গেরুয়া শিবিরের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতেই পাল্টা মন্তব্য করেন তৃণমূলের কল্যাণ।