বাংলাহান্ট ডেস্ক: গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, এমনি অভিযোগ তুলে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) উদ্দেশে নিশানা ছুঁড়লেন অভিনেতা তথা রাজনীতিবিদ কমল হাসান (Kamal Haasan)। সংসদে একগুচ্ছ প্রচলিত শব্দের উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। বেছে বেছে বাদ দেওয়া হয়েছে কিছু ‘অসংসদীয়’ শব্দ। আর এই নতুন নিয়মের বিরুদ্ধেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন কমল হাসান।
লোকসভার সচিবালয়ের তরফে কিছু শব্দ নিয়ে একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে ‘অসংসদীয়’ বলে দাবি করে জানানো হয়েছে নাটক, দুর্নীতিগ্রস্ত, লজ্জাজনক, ভণ্ডামি, বিশ্বাসঘাতকতার মতো শব্দ আর ব্যবহার করা যাবে না লোকসভায়।
এর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছে কমল হাসানের দল ‘মক্কল নিধি মাইয়াম’। অভিনেতা তথা পার্টির প্রধানের একটি ছবি টুইট করে সরাসরি আক্রমণ শানানো হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর দিকে। লেখা হয়েছে, ‘মিস্টার হিটলার, এটা জার্মানি নয়! আপনি কি রাজতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে চলেছেন?’
পার্টির তরফে আরো বলা হয়েছে, ‘প্রজাতন্ত্র আর বাক স্বাধীনতাকে দমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। প্রজাতন্ত্রের সুবিধা হল যেকোনো অসঙ্গতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া, আর সেটারই যদি অনুমতি না দেওয়া হয় তাহলে সেটা আমাদের সংবিধানের অপমান।’
প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি কটাক্ষ করে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছে কমল হাসানের দল, ‘মাননীয়া প্রধানমন্ত্রী আর অন্য মন্ত্রীরা যদি সমালোচনা বা পরামর্শ কোনোটাই গ্রহণ করতে না পারেন, তার অর্থ কি এই যে আমরা আবার রাজতন্ত্রের দিকে ফিরে যাচ্ছি যেখানে শুধু রাজা আর মন্ত্রীরাই প্রশংসিত হবে?’
সচিবালয়ের এই নতুন নিয়মে ক্ষোভে ফুঁসছে বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী কটাক্ষ করেছেন, আলোচনা এবং বিতর্কে ব্যবহৃত যে শব্দগুলো মোদী সরকারকে সঠিক ভাবে বর্ণনা করত সেগুলোই বাদ দেওয়া হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষোভ, একনায়কতন্ত্রের চূড়ান্ত! বিজেপি সরকার ঠিক করে দেবে কী বলা হবে না হবে।