বাংলা হান্ট ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে পরাজিত হয়েছেন কমলা হ্যারিস (Kamala Harris)। কিন্তু, নির্বাচনে পরাজয়ের পরেও হ্যারিসের দল এখনও জনগণের কাছ থেকে অনুদান সংগ্রহ করছে বলে জানা গিয়েছে। বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে হ্যারিসের টিমের পাঠানো একটি ই-মেইলে বলা হয়েছে যে, “আমেরিকাতে প্রতিশ্রুতির আলো জ্বলতে থাকবে, যতক্ষণ আমরা লড়াই চালিয়ে যাব। অপরদিকে, সারা দেশে এখনও অনেক গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন রয়েছে যেগুলির হয় খুব কাছাকাছি ফলাফল বাকি রয়েছে বা কিছু পুনর্গণনা অথবা কিছু আইনি চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে। এর জন্য আমাদের ফান্ড দরকার।”
কেন জনগণের কাছ থেকে অনুদান চাইছেন হ্যারিস (Kamala Harris):
এমতাবস্থায়, “হ্যারিস ফাইট ফান্ড” নামে চলা প্রচারের মাধ্যমে এই অর্থ সংগ্রহ করা হচ্ছে। জানিয়ে রাখি যে, “হ্যারিস ফাইট ফান্ড” নামটি প্রাক-নির্বাচন প্রচার “হ্যারিস ভিক্টোরি ফান্ড”-এর নতুন নাম। এদিকে, ওই ইমেলে হ্যারিসের (Kamala Harris) এই প্রচার অভিযানে তাদের কতটা ফান্ডের প্রয়োজন সেই সম্পর্কে কোনও তথ্য দেওয়া হয়নি।
নির্বাচনের সময়ে কোটি কোটি টাকা তোলা হয়েছে: বিষয়টির পরিপ্রেক্ষিতে এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, হ্যারিসের এই ক্যাম্পেইন ট্রাম্পের প্রচারের চেয়ে বহুগুণ বেশি অনুদান সংগ্রহ করেছিল। হ্যারিস (Kamala Harris) আনুমানিক ১ বিলিয়ন ডলার অনুদান পেলেও ট্রাম্প আনুমানিক ৩৯ মিলিয়ন ডলার অনুদান পেয়েছেন। এমতাবস্থায়, হ্যারিসের প্রচার ব্যর্থ হওয়া সত্বেও, এটি আমেরিকার ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যয়বহুল প্রচার অভিযান হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে কেন পাকিস্তানে যাবে না টিম ইন্ডিয়া? রাখঢাক না রেখে ICC-কে কারণ জানাল BCCI
হ্যারিসের দলে টাকার অভাব: হ্যারিসের (Kamala Harris) প্রচারের আর্থিক সঙ্কট থেকে এটুকু স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে নির্বাচনে পরাজয় সত্বেও তাঁর অর্থ সংগ্রহের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এই প্রচার অভিযানের প্রধান আর্থিক কর্মকর্তা প্যাট্রিক স্টফার বলেন, ভোটের দিন পর্যন্ত কোনও বকেয়া বিল বা ঋণ নেই এবং আসন্ন আর্থিক রিপোর্টে কোনও ঋণ উল্লেখ করা হবে না। এদিকে, এই প্রচারের আর্থিক অবস্থান সম্পর্কে কোনও স্পষ্টতা নেই এবং কিছু ভেন্ডারের কাছ থেকে অর্থ প্রদান এখনও মুলতুবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: “লেখাটি এডিট করব না”, রাত দখলকে সামনে রেখে চাকরি খোঁজার “অভিযোগে” কি জানালেন রিমঝিম?
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে, অনুদানের জন্য হ্যারিসের (Kamala Harris) আবেদনের ওপর ভিত্তি করে ডেমোক্রেটিক ন্যাশনাল কমিটি (ডিএনসি) স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, তারা হ্যারিসের প্রচারে আর কোনও অনুদান দেবে না। তবে তারা এই অভিযান থেকে সম্পূর্ণ পিছু হটতেও অস্বীকার করেছে।