বাংলাহান্ট ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে চর্চার অন্যতম বিষয় হল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files)। ছবি মুক্তির আগে থেকেই বিতর্কের আঁচ পাওয়া গিয়েছিল। মুক্তির পর তা বেড়েছে বই কমেনি। তবে সেই সঙ্গে ঢালাও প্রশংসাও হয়েছে বিবেক অগ্নিহোত্রী (Vivek Agnihotri) পরিচালিত এই ছবির। বলিউডের সিংহ ভাগ মুখে কুলুপ আঁটলেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজে বাহবা জানিয়েছেন কলাকুশলীদের। ফলাফল, এক সপ্তাহেই ১০০ কোটির ক্লাবের কাছাকাছি দ্য কাশ্মীর ফাইলস।
ছবি বলিউডের হলেও বিষয়বস্তু আদ্যোপান্ত রাজনৈতিক। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের ভিটেমাটি থেকে উৎখাত করার, গণহত্যার মতো নৃশংস অতীতের কাহিনি নিয়ে তৈরি এই ছবি। প্রধানমন্ত্রী দাবি করেছেন, এমন ছবি আরো বানানো হোক। একাধিক রাজ্যে করমুক্ত হয়েছে কাশ্মীর ফাইলসের টিকিট।
এখানেই শেষ নয়। ছবি দেখতে গেলেই পুলিসকর্মী, সরকারি আধিকারিকদের ছুটি মকুবের মতোও ঘোষনা করা হয়েছে। বাংলায় বিরোধী দলনেতার সঙ্গে বিজেপি পরিষদীয় দল গিয়ে দেখে এসেছে দ্য কাশ্মীর ফাইলস। সপ্তাহের যেকোনো দিনই হটকেকের মতো বিকোচ্ছে টিকিট।
অনেকে বিজেপির এই অতি সক্রিয়তার মধ্যে রাজনৈতিক ও ধর্মীয় গন্ধ পেয়েছেন বটে। তবে তাতে কাশ্মীর ফাইলসের সাফল্য আটকানো যায়নি। বলিউডেও কয়েকজন পরিচালক প্রশংসা করেছেন এই ছবির। টলিউড পরিচালক কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়ও (Kamaleshwar Mukherjee) শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিবেক অগ্নিহোত্রীকে।
তবে ছবিটি নিয়ে তাঁর কিছু প্রশ্ন রয়েছে। পরিচালক বলেন, কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উৎখাতের ঘটনা যখন ঘটেছিল, তখন রাজ্যপাল ছিলেন আরএসএস পন্থী। প্রধানমন্ত্রী বিশ্বনাথ প্রতাপ সিংকেও সমর্থন করত বিজেপি। সরকার কি এই নৃশংস ঘটনা রুখতে কোনো পদক্ষেপ নিয়েছিল? প্রশ্ন পরিচালকের।
বিজেপি রাজ্যগুলির সিনেমার টিকিটে কর ছাড় দেওয়া বা ছুটি ঘোষনা করা নিয়েও কটাক্ষ করেছেন কমলেশ্বর। তাঁর মতে, ছবি বিক্রি করার জন্যই এই পন্থা। এমনকি বিবেক অগ্নিহোত্রী সরকারকে তুষ্ট করতেই এই ছবি বানিয়েছেন বলেও সন্দেহ করছেন কমলেশ্বর।
অতি সম্প্রতি কাশ্মীর ফাইলসের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ঢালাও প্রশংসা দেখে বলিউড পরিচালক বিনোদ কাপরি আরেকটি আর্জি রেখেছেন। তাঁর প্রশ্ন, তথ্য ও শিল্পের ভিত্তিতে তিনি ‘গুজরাট ফাইলস’ ছবিটি বানাতে চান। মুক্তি পেতে দেবেন তো মোদীজি? এবার কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়েরও পরামর্শ, হাথরস বা উন্নাও গণধর্ষণ কাণ্ড নিয়েও ছবি তৈরি হোক।