গায়ে সাদা শাল, কপালে রঙের ছোঁয়া! মদনের পাশে বসে থাকা সুন্দরী রমণী কে? পরিচয়টা চমকে দেবে

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বঙ্গ রাজনীতির ‘কালারফুল বয়’ তিনি। সমাজমাধ্যমেও বেশ জনপ্রিয়। সেই মদন মিত্র (Madan Mitra) অসুস্থতার কারণে আপাতত বাড়িতে রয়েছেন। লোকসভা নির্বাচনের প্রচারেও দেখা মিলছে না তাঁর। তবে সম্প্রতি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের দরুন ফের একবার সংবাদের শিরোনামে উঠে এলেন কামারহাটির তৃণমূল (TMC) বিধায়ক।

এমনিতে সমাজমাধ্যমে বেশ সক্রিয় মদন। তবে গত কয়েক মাসে তাঁর প্রোফাইলে তেমন ‘অ্যাক্টিভিটি’ চোখে পড়েনি। দীর্ঘ বিরতি শেষে মঙ্গলবার দেখা মিলল তাঁর। দোলের শুভেচ্ছা জানিয়ে ফেসবুকে একটি ছবি শেয়ার করেন কামারহাটির বিধায়ক (Kamarhati TMC MLA)। সেখানে দেখা যাচ্ছে, সাদা শাল জড়িয়ে বসে আছেন মদন। তাঁর পাশে বসে এক সুন্দরী রমণী। নিমেষের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায় তৃণমূল নেতার এই পোস্ট। ছবির ক্যাপশনে লেখা, ‘দোল, হোলি সবার কেমন কাটলো?’

মদনের পোস্টে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর পাশে বসে থাকা সুন্দরী রমণীকে নিয়ে কৌতূহল বাড়তে থাকে নেটিজেনদের মধ্যে। সাদা শাড়ি পরিহিতা এই সুন্দরীর নাম মেঘনা মিত্র (Meghna Mitra)। মদন মিত্রের ছোট ছেলের বৌ তিনি। মেঘনার অবশ্য আরও একটি পরিচয় আছে। তিনি কামারহাটি পুরসভার ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। মদনের মুখে একাধিকবার কন্যাসম মেঘনার প্রশংসা শোনা গিয়েছে।

আরও পড়ুনঃ মিমি-নুসরতই নেই TMC-র তারকা প্রচারকের লিস্টে! BJP-র তালিকায় রয়েছে বিরাট চমক

প্রসঙ্গত, চোখে রোদ চশমা, পরনে রঙিন পাঞ্জাবি- মদন মিত্রকে এই ‘লুকে’ দেখতেই অভ্যস্ত আপামর বাঙালি। তবে গত ডিসেম্বর মাসে আচমকাই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভুগছিলেন এই তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা। ভর্তি করতে হয় হাসপাতালে। এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ব্লকে চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে ছিলেন কামারহাটির বিধায়ক। তবে সেখানে খিঁচুনির জেরে পড়ে যান তিনি। ভেঙে যায় বাঁ কাঁধের হাড়।

madan mitra daughter in law meghna mitra

গতকাল মদন মিত্র যে ছবিটি শেয়ার করেছেন, সেটা দেখে বোঝা যাচ্ছে তিনি এখনও পুরোপুরি সুস্থ হননি। এমনিতে সর্বক্ষণ বেশ চনমনে মেজাজে থাকেন তিনি। তবে এখন চোখেমুখে সেই ছাপ কিছুটা হলেও কম। মদনের পোস্টের কমেন্টেও অনেকে তাঁর আরোগ্য কামনা করেছেন। দ্রুত সুস্থ হয়ে রাজনীতির ময়দানে ফিরে আসুন, এটাই কামনা সকলের।

Sneha Paul
Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তরের পর সাংবাদিকতা শুরু। বিগত প্রায় ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত।

সম্পর্কিত খবর