মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন একঝাঁক তারকা। সেই তালিকাতেই ছিলেন কাঞ্চন মল্লিক। মূলত কৌতুকশিল্পী কাঞ্চন রাজনীতিতে যোগ দেওয়ায় বেশ অবাকই হয়েছিলেন অনেকে। তবে চমকের বাকি ছিল আরো। উত্তরপাড়া বিধানসভা থেকে তৃণমূলের হয়ে প্রার্থী হয়েছেন কাঞ্চন।
নাম ঘোষনা হওয়ার পর থেকেই কোমর বেঁধে প্রচারে নেমে পড়েছেন কাঞ্চন। তীব্র রোদ মাথায় নিয়েই প্রচার সারছেন তিনি। পৌঁছে যাচ্ছেন মানুষের দরজায় দরজায়। এবার প্রচার করতে বেরিয়ে উত্তরপাড়ার ধারসা অঞ্চলের গাজী আবদাল সাহেবের মাজারে উপস্থিত হন কাঞ্চন।
মাজারে সকলের সাথে বসে নামাজ পড়েন কাঞ্চন। আর এতেই রীতিমতো আপত্তি নেটজনদের। একের পর এক কড়া মন্তব্য করে কাঞ্চন মল্লিককে আক্রমন করেছেন সোশ্যাল মিডিয়া ইউজাররা।
সুনিত নামের এক ফেসবুক ইউজার লিখেছেন, “কাঞ্চন মল্লিক বাবু আপনার এই নাটক টা কিন্তু মুসলিম সমাজ ভালো চোখে নেবে না, কারণ তাঁরা জানেন , এইটা আপনার ভাড়ামো ছাড়া আর কিছু নয় ! যেইটা আপনার পেশা হতে পারে , ক্ষতি নেই, হেরে গেলে থাকবেন তো এই ভাবে, না ভোট শেষ, আপনার পরিচালক বলবে ‘কাট’ অমনি ল্যাজ দুলিয়ে /গুটিয়ে অন্য শর্ট জন্য তৈরি হবেন।” রবিশঙ্কর মূৰ্ম নামের এক ইউজার লিখেছেন, তাহলে এবার রোজাটাও রাখবেন।
রঞ্জন মন্ডল লিখেছেন, “এই অভিনয়টা সবাই ধরে ফেলেছে, নতুন কিছু ভাবনা করা উচিত।” সুনু সাহা লিখেছেন, “দিদি ও নামাজ পড়ে তার চেলা বেলা পড়ছে সব গদি লোভ এরা হিন্দু ধর্ম কে ছোটো করছে।”
আশীষ সেনগুপ্ত নামের একজন ফেসবুক ইউজার লিখেছেন, “ভোট বড় বালাই, জাত ধর্ম বিসর্জন দেওয়া তৃণমূল প্রার্থীদের প্রধান কাজ। এই ধরনের প্রার্থীরা সাধারণ মানুষের সেবায় নিয়োজিত হবে ভাবতে বড় অবাক লাগে। এই ধরনের প্রার্থীদের প্রধান লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ নামক রাজ্যকে শেষ করে দেওয়া। এই ধরনের প্রার্থীরা চায় পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশের রূপান্তরিত করা।” সবমিলিয়ে নেটিজনরা যে ভোট প্রচারের জন্য কাঞ্চন মল্লিকের নামাজ পড়াকে ভালো চোখে দেখছেন না তা একেবারে স্পষ্ট।