অবশেষে নতিস্বীকার করলেন কাঞ্চন মল্লিক (Kanchan Mallick)। আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের পুজোর বোনাস নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করে সোমবার দিনভর সমালোচনা, ছিছিক্কার শুনেছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলিং, সহকর্মীদের ধিক্কার শুনে শেষমেষ সোমবার রাতে মুখ খুললেন কাঞ্চন (Kanchan Mallick)। নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন অভিনেতা বিধায়ক।
ক্ষমা চেয়ে ভিডিও পোস্ট কাঞ্চনের (Kanchan Mallick)
একটি ভিডিও বার্তায় কাঞ্চনকে (Kanchan Mallick) বলতে শোনা যায়, ‘এএকটি ধর্নামঞ্চে গতকাল আমি কিছু মন্তব্য করে ফেলি। যা নিয়ে সমালোচনা হয়। আমি আমার বক্তব্যের জন্য দুঃখিত এবং লজ্জিত’। তিনি আরো বলেছেন, কোনো সাফাই গাওয়ার জন্য নয়, বরং অন্তর থেকে নিজের ভুল উপলব্ধি করতে পেরেই এই ভিডিওটি করেছেন তিনি। বাড়িতে তাঁরও স্ত্রী রয়েছেন, অসুস্থ ব্যক্তি রয়েছেন। তাঁকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। পাশাপাশি তিনি নিজেও অন্যদের প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা পরিষেবার ব্যবস্থা করে দেন।
আরো পড়ুন : Lalbazar: রাতভর জুনিয়র ডাক্তারদের অবস্থান বিক্ষোভ, পাশে টলিপাড়া, এবার পথে নামার ঘোষণা ‘তিলোত্তমা’র মায়ের
কেন এমন বিতর্কিত মন্তব্য
কিন্তু যেখানে আরজিকর কাণ্ডে জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রতিবাদ, বিচারের দাবিতে পাশে দাঁড়িয়েছে সমগ্র রাজ্যের মানুষ, সেখানে কাঞ্চনের (Kanchan Mallick) এমন ব্যঙ্গের কারণ কী? ভিডিওতে অভিনেতা বিধায়ক বলেন, তাঁর এক ভাই সমান বন্ধুর মা মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে মৃতপ্রায় অবস্থায় ছিলেন। চিকিৎসা পরিষেবায় সাহায্যের জন্য সেই ব্যক্তি কাঞ্চনের কাছে এসেছিলেন। কিন্তু চিকিৎসকদের ধর্মঘট চলার কারণে তাঁকে বাঁচানো যায়নি বলে বক্তব্য কাঞ্চনের (Kanchan Mallick)। এই কারণেই ধৈর্য্য চ্যুতি হয়ে এমন মন্তব্য করে ফেলেছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : Prity Biswas: ‘এই জঘন্য দুনিয়ায় আতঙ্কে রয়েছি’, ১৮ দিনের মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভুগছেন প্রীতি
আরজিকর নিয়ে সরব কাঞ্চন
অভিনেতা বিধায়ক বলেন, এরপরেও চিকিৎসক এবং চিকিৎসা পরিষেবা নিয়ে কোনো খারাপ মন্তব্য তিনি করতে চাননি মন থেকে। আরজিকর কাণ্ডের প্রভাব তাঁর উপরেও পড়েছে। তিনিও চাইছেন নির্যাতিতার জন্য বিচার। একজন সাধারণ মানুষের মতোই নিজের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছেন কাঞ্চন (Kanchan Mallick)।
রবিবার শাসক দলের বিধায়ক মন্তব্য করেন, আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তাররা মাসের শেষে সরকারি বেতন, পুজোর বোনাস হাত পেতে নেবেন তো? এর মধ্যে কোনোটাই যে জুনিয়র চিকিৎসকরা পান না সেটাও কি জানেন না তৃণমূল বিধায়ক? প্রশ্ন তুলে ধিক্কার দিয়েছিলেন নেটিজেনরা। তাঁর সহকর্মী সুজননীল মুখোপাধ্যায় তাঁকে বাদ দেন নাটক থেকে। বন্ধু হিসেবে ‘ত্যাগ’ করেন সুদীপ্তা চক্রবর্তী। এমনকি ‘চটি চাটা’ কটাক্ষও সইতে হয় কাঞ্চনকে। তারপরেই তড়িঘড়ি এই ক্ষমা চেয়ে ভিডিও পোস্ট অভিনেতার।
ফিরহাদ হাকিমের কুমন্তব্যে তোলপাড় রাজ্য! কুণাল বললেন ‘ওই বিপ অংশ…’