মদের দোকানের সামনে ঠাণ্ডা পানীয় বিক্রি! সংসার চালাতে পার্লারেও কাজ করেছেন কাঞ্চন

বাংলাহান্ট ডেস্ক: অভিনয় জগৎ যতটা গ্ল্যামারাস লাগে, এই জগতে জায়গা পেতে গেলে ততটাই পরিশ্রমের প্রয়োজন। এমন কথা বহুবার শুনে থাকবেন। আজ যাঁরা নামী অভিনেতা অভিনেত্রী, তাঁরা অনেকেই কিন্তু প্রচুর খেটে তারপরেই আজকের জায়গাটায় পৌঁছাতে পেরেছেন। এই তালিকায় নাম রয়েছে অভিনেতা বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকেরও (Kanchan Mullick)।

বাংলা বিনোদন ইন্ডাস্ট্রির বহুদিনের সদস্য কাঞ্চন মল্লিক। জনতা এক্সপ্রেস এর কাঞ্চা থেকে আজকের তৃণমূল বিধায়ক হওয়া পর্যন্ত একটা লম্বা রাস্তা পেরিয়ে এসেছেন তিনি। নিজেকে নিয়ে বরাবর মজা করতে দেখা গিয়েছে কাঞ্চনকে। এমনকি এখন বিধায়ক হয়ে গেলেও আজো কৌতুকশিল্পীর ভূমিকায় অভিনয় করতে না বলতে দেখা যায় না তাঁকে।

Kanchan mullick

এহেন কাঞ্চন নিজেই একবার নিজের কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা প্রকাশ করেছিলেন। জি বাংলায় শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় সঞ্চালিত ‘অপুর সংসার’ শোতে এসে তিনি জানিয়েছিলেন, অভিনয়ে পা রাখার আগে তিনি এক বিউটি পার্লারে কাজ করতেন। দীর্ঘ পাঁচ বছর কাজ করেছিলেন তিনি সেখানে।

কাঞ্চন জানিয়েছিলেন, পার্লারে বিল কাটার কাজ করতেন তিনি। অনেক নামীদামী ব্যক্তিত্বও আসতেন নিজের পরিচর্যার জন্য। তাদের দেখে অবাক হয়ে কাঞ্চন ভাবতেন, কবে তিনিও এমনি জনপ্রিয় হবেন। কিন্তু তখন পাড়ার লোকের গঞ্জনা ছাড়া আর কিছুই জুটত না।

শুধু পার্লার নয়, অভিনয় জগতে আসার আগে অনেক ধরণের কাজই করেছিলেন কাঞ্চন। এক ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে তিনি জানিয়েছিলেন, পরিবারে তখন সদস‍্য সংখ‍্যা সাড়ে পাঁচ জন। সংসার চালাতে দরকার মাসিক ১২০০ টাকা। শুরু করলেন মদের দোকানের সামনে কোলা বিক্রির কাজ।

একদিন একজন তাঁকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, এত ছোট বয়সে মদের দোকানের সামনে কোলা বিক্রি করতে লজ্জা করে না? কাঞ্চন উত্তর দিয়েছিলেন, মাসে সংসার খরচ ১২০০ টাকা। ১০০০ টাকা দিলেও চালিয়ে নেবেন। ওই ভদ্রলোক যদি দেন তাহলে এখুনি ছেড়ে দেবেন কাজ।


Niranjana Nag

সম্পর্কিত খবর