বাংলাহান্ট ডেস্ক: পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপের (anurag kashyap) গ্রেফতারের দাবিতে সরব হলেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ (payel ghosh) পরিচালকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ তুলতেই অনুরাগের গ্রেফতারির দাবি জানালেন অভিনেত্রী। তাঁর মতে, প্রতিটা প্রতিবাদই গুরুত্বপূর্ণ।
শনিবার প্রধানমন্ত্রীকে ট্যাগ করে অনুরাগ কাশ্যপের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ এনে টুইট করেন পায়েল। তাঁর সেই টুইটের ভিত্তিতেই এবার অনুরাগের গ্রেফতারির দাবি জানালেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী। তিনি আরও লেখেন, ‘প্রতিটা আওয়াজই গুরুত্বপূর্ণ।’ সঙ্গে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখেন, #MeToo ও অ্যারেস্ট অনুরাগ কাশ্যপ।
জোর করে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইছিলেন পরিচালক অনুরাগ কাশ্যপ (anurag kashyap)। সম্প্রতি এমনই বিষ্ফোরক অভিযোগ করেন অভিনেত্রী পায়েল ঘোষ। পায়েলের কথায়, “আমি ওনার সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলাম। পরের দিন উনি আমাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে জোর করে আমার পোশাক খুলে ওনার পুরুষাঙ্গ আমার মধ্যে প্রবেশ করাতে চান। উনি বলেন এটা স্বাভাবিক। হুমা কুরেশি, রিচা চাড্ডা, মাহি গিল যারাই ওর সঙ্গে কাজ করেছেন সকলেই এটা করেছেন।”
Every voice matters #MeToo #ArrestAnuragKashyap https://t.co/Pv1kGZIRr6
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 19, 2020
পায়েল ঘোষ বলেন, “অনুরাগ দাবি করেন যখনই আমি ওদের ডাকি ওরা তৎক্ষণাৎ এসে আমাকে তৃপ্ত করে।” পায়েল জানান, তিনি প্রচন্ড অস্বস্তিতে পড়েছিলেন ওই পরিস্থিতিতে। পরেরদিন এসে সময় কাটানোর ছুতো দিয়ে সেদিন পালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেন পায়েল। তিনি অভিযোগ করেন, যতদিন না পর্যন্ত তিনি বিষয়টাতে পুরোপুরি দাঁড়ি বসাতে পারতেন ততদিন পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন পরিচালক।
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা পায়েলের থেকে বিস্তারিত অভিযোগ চেয়েও পাঠিয়েছেন এই ভিত্তিতে। অপরদিকে সম্প্রতি কঙ্গনা ও অনুরাগের মধ্যে শুরু হয় টুইট যুদ্ধ। টুইটে তোপ দেগে অনুরাগ কাশ্যপ লেখেন, ‘ব্যস তুই একাই আছিস বোন। একাই মণিকর্ণিকা। তুই না চার পাঁচ জনকে নিয়ে আক্রমণ কর চিনকে। দেখ কতটা ভেতরে ঢুকে এসেছে। দেখিয়ে দে ওদের যে যতদিন তুই আছিস এই দেশের কেউ কিচ্ছু করতে পারবে না। তোর বাড়ি থেকে তো LAC মাত্র একদিনের রাস্তা। যা শেরনি। জয় হিন্দ’।
এমন টুইটের পর কঙ্গনা যে মুখে কুলুপ এঁটে থাকবেন তা সম্ভব নয়। পালটা খোঁচা মেরেছেন তিনিও। টুইটে কঙ্গনা লেখেন, ‘ঠিক আছে আমি সীমান্তে যাচ্ছি, আপনি আগামী অলিম্পিকসে যাবেন। দেশের গোল্ড মেডেল প্রয়োজন। এই সব কোনো বি গ্রেড ফিল্ম না যে অভিনেতা যা খুশি হয়ে যাবে। আপনার বুদ্ধি এত কমে গেল কিকরে? যখন আমাদের বন্ধুত্ব ছিল তখন তো বেশ চালাক ছিলেন।’