বাংলাহান্ট ডেস্ক: কৃষক আন্দোলন (farmers protest) নিয়ে প্রথম থেকেই রণরঙ্গিনী অবতারে দেখা গিয়েছে কঙ্গনা রানাওয়াতকে (kangana ranawat)। টুইটারে (tweet) বহুবার এই ইস্যুতে সরব হয়েছেন তিনি। আন্দোলনের মিছিলে কৃষক পত্নী মহিন্দর কউরকে শাহিনবাগের বিলকিস বানো বলে দাবি করে বিতর্কে জড়ানো থেকে পাঞ্জাবি গায়ক দিলজিৎ দোসাঞ্ঝের সঙ্গে টুইট যুদ্ধ, বারে বারে সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি মার্কিন গায়িকা রিহানার উদ্দেশে আক্রমণ শানিয়ে টুইটার কর্তৃপক্ষের নিশানাতেও এসেছেন অভিনেত্রী। বিধি লঙ্ঘন করায় ডিলিট হয়েছে একাধিক টুইট। তাতেও দমেননি কঙ্গনা। তবে তার ফলও ভোগ করতে হয়েছে তাঁকে। একাধিক বড় কোম্পানির বিজ্ঞাপন থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে কঙ্গনার নাম। একথা নিজেই টুইট করে জানিয়েছেন অভিনেত্রী।
এমন ঘটনা অবশ্য প্রথম নয়। এর আগেও এমন দীন দেখতে হয়েছে কঙ্গনাকে যখন তাঁর হাত থেকে বড় বড় বেশ কয়েকটি কোম্পানির বিজ্ঞাপন ফসকে গিয়েছে। হৃতিক রোশনের সঙ্গে বিবাদের সময়েও একসঙ্গে প্রায় ১৮ টি কোম্পানির বিজ্ঞাপন হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল কঙ্গনার। এবার ফের তেমনটাই হয়েছে। কৃষক আন্দোলন নিয়ে একের পর এক বিতর্কিত টুইটের কারণে বেশ কয়েকটি কোম্পানি কন্ট্র্যাক্ট বাতিল করেছে কঙ্গনার সঙ্গে।
সম্প্রতি নিয়মবিধি লঙ্ঘন করায় টুইটার কর্তৃপক্ষের নিশানায় পড়েন কঙ্গনা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণা ছড়ানোর অভিযোগে মুছে ফেলা হয় অভিনেত্রীর একাধিক টুইট। তার মধ্যে রয়েছে ক্রিকেটার রোহিত শর্মার টুইটের উত্তরে করা একটি টুইটও।
রোহিত শর্মা লেখেন, ‘আমরা সকলে একত্র হলেই ভারত শক্তিশালী হয় এবং এই মুহূর্তে একটা সমাধান খোঁজাই সবথেকে বেশি দরকার। দেশের হিতের জন্য কৃষকেরা একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আশা করি সমস্যার সমাধানে সবাই নিজের দায়িত্ব পালন করবে।’
তবে রোহিতের টুইট খুব একটা মনে ধরেনি কঙ্গনার। পালটা তোপ দেগে তিনি মন্তব্য করেন, নিজেদের ভালর জন্য যে আইন তার বিরুদ্ধে কৃষকেরা যাবে কেন? সন্ত্রাসবাদীরাই যত গন্ডগোল পাকাচ্ছে। সেটা বলতে এত ভয় কেন? প্রশ্ন তোলেন কঙ্গনা। এই টুইটটিও ডিলিট করে দেওয়া হয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষের তরফে।