বাংলাহান্ট ডেস্ক: গোটা দেশ জুড়ে আবারো ছড়িয়ে পড়েছে করোনা (corona) সংক্রমণ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কাবু করেছে বলি তারকাদেরও। এমনকি দ্বিতীয় ঢেউয়ে রক্ষা পাননি ‘গরীবের মসিহা’ সোনু সূদও (sonu sood)। গত ১৭ এপ্রিল করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর জানান তিনি।
সোনুর করোনা আক্রান্ত হওয়ার খবর মিলতে দুশ্চিন্তায় পড়ে গিয়েছিলেন তাঁর অসংখ্য অনুরাগীরা। তবে কোয়ারেন্টাইনে থেকেও নিজের সমাজসেবার কাজ বন্ধ রাখেননি অভিনেতা। অবশেষে গত ২৩ এপ্রিল সোনু সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন যে তিনি করোনা নেগেটিভ।
মাত্র ছয় দিনের মাথায় সোনুর করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। আনন্দের পাশাপাশি অনেকে প্রশ্নও তুলেছিল এত তাড়াতাড়ি করোনা মুক্ত হলেন কিভাবে সোনু। এর উত্তর দিয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত। তাঁর দাবি এ সবই সম্ভব হয়েছে ভারতে তৈরি ভ্যাকসিনের দৌলতে।
কঙ্গনা লেখেন, ‘সোনু জি আপনি ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন এবং তার জন্যই এত তাড়াতাড়ি আপনি সুস্থ হয়ে গিয়েছেন। আশা করি আপনি ভারতে তৈরি ভ্যাকসিন ও তার কার্যকারিতার প্রশংসা করবেন এবং মানুষকে এই ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহ দেবেন যাতে আগের বারের মতো অনেক ভ্যাকসিন নষ্ট না হয়ে যায়।’
তবে কঙ্গনার এই দাবির উত্তরে কোনো মন্তব্য করেননি সোনু। আদৌ অভিনেত্রীর এই দাবি সত্যি কিনা তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে অনেকের। তবে কঙ্গনা তো কঙ্গনাই। স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে সব বিষয়ে মন্তব্য করার তাঁর স্বভাবের সঙ্গে এতদিনে পরিচিত হয়ে গিয়েছেন সকলেই।
অপরদিকে কোভিড মুক্ত হয়েই নতুন উদ্যমে সোনু ঝাঁপিয়ে পড়েছেন মানুষের সাহায্যে। অবশ্য করোনা আক্রান্ত হয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকার সময়েও মানুষের সাহায্য করার থেকে পিছু হটেননি অভিনেতা।
এবার এক করোনা রোগীর চিকিৎসার জন্য তাঁকে এয়ারলিফট করে নাগপুর থেকে হায়দ্রাবাদ পৌঁছে দিলেন সোনু। বছর পঁচিশের ভারতীকে সোনুর সাহায্যেই নাগপুরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। করোনায় তাঁর ফুসফুসের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশই নষ্ট হয়ে গিয়েছে। নাগপুরের হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানকার চিকিৎসকরা জানান ভারতীর ফুসফুস বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব নয়। তাঁকে হায়দ্রাবাদে নিয়ে যেতে হবে।
এক মুহূর্তও দেরি করেননি অভিনেতা। আগে থেকেই খোঁজ খবর নিয়ে রেখেছিলেন হায়দ্রাবাদের হাসপাতালে। তবে একমো সাপোর্ট ছাড়া কোনো ভাবেই যেতে পারতেন না ভারতী। তাই তাঁর জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থাও করেন সোনু।
ভারতীর বাবা একজন রেলের অফিসার বলে জানা গিয়েছে। হায়দ্রাবাদে নিয়ে যাওয়া হলেও চিকিৎসকরা জানিয়েছেন ভারতীর বাঁচার সম্ভাবনা মাত্র ২০ শতাংশ। কিন্তু হাল ছাড়তে রাজি ছিলেন না সোনু। তাঁর বিশ্বাস এই যুদ্ধে জয়ী হয়ে ভারতী ঠিক ফিরবেন। তাঁর সুস্থতা কামনা করে টুইটও করেছেন সোনু।