বাংলাহান্ট ডেস্ক : সবে গরম পড়তে শুরু করেছে। এখনো গ্রীষ্ম জাঁকিয়ে বসেনি। এর মধ্যেই বিদ্যুতের বিল দেখে মাথায় হাত কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut)। ১ লক্ষ টাকা নাকি বিদ্যুতের বিল পাঠানো হয়েছে তাঁকে। হিমাচল প্রদেশ ইলেকট্রিসিটি বোর্ড লিমিটেডকে সংবাদ মাধ্যমের সামনেই তুলোধনা করেন মাণ্ডির বিজেপি সাংসদ। বিতর্কের মাঝে এবার উত্তর হল ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের তরফে।
১ লক্ষ টাকা ইলেকট্রিক বিল এসেছে কঙ্গনার (Kangana Ranaut)
সম্প্রতি সংবাদ মাধ্যমের সামনে কঙ্গনা (Kangana Ranaut) অভিযোগ করেন, তাঁকে ১ লক্ষ টাকার ইলেকট্রিক বিল ধরানো হয়েছে। এমনিতে এর আগেও কয়েকজন তারকা মাত্রাতিরিক্ত বিল নিয়ে মুখ খুলেছেন জনসমক্ষে। কিন্তু কঙ্গনার (Kangana Ranaut) ১ লক্ষ বিলের কথা শুনে স্বাভাবিক ভাবেই চর্চা শুরু হয়েছে সর্বত্র। এমতাবস্থায় পালটা মুখ খুলল HPSEBL। বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ কুমার সংবাদ মাধ্যমের সামনে দাবি করেন, কঙ্গনা যে মন্তব্য করেছেন তা পুরোপুরি সত্যি নয়। বিলটা এক মাসের নয়। বরং বেশ কয়েকটি বিলিং সাইকেল এবং বকেয়া বিলের টাকা মিলিয়েই অঙ্কটা এত পরিমাণে দাঁড়িয়েছে।
কীভাবে এল এত বেশি বিল: বিলের টাকার সঠিক অঙ্কটা উল্লেখ করে সন্দীপ বলেন, ৯১ হাজার টাকা ও কয়েকশো টাকা বিল হয়েছে। পুরোপুরি ১ লক্ষ নয়। আর এটা এক মাসেরও নয়। কয়েক মাসের টাকা জমেই এত বেশি বিল দাঁড়িয়েছে। কিন্তু ১ লক্ষ টাকা বিল এল কীভাবে? সন্দীপ বুঝিয়ে বলেন, নভেম্বর এবং ডিসেম্বর মাসের ইলেকট্রিক বিল কঙ্গনা মিটিয়েছেন ১৬ ই জানুয়ারি। আবার জানুয়ারি এবং ফেব্রুয়ারি মাসের বিলও বাকি ছিল। এদিকে মার্চ মাসে ২০ দিনের বিলিং সাইকেলও তখন শেষ হয়ে গিয়েছিল।
আরো পড়ুন : “আহা কী আনন্দ…”, রাস্তার মাঝে মহিলা বাহিনীকে নিয়ে রুটি সেঁকলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য! ব্যাপারটা কী?
কত লোড রয়েছে অভিনেত্রীর বাড়ির কানেকশনে: কঙ্গনার (Kangana Ranaut) ইলেকট্রিক বিলের ব্যাপারে আরো বলতে গিয়ে বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানান, প্রায় ৩১-৩২ হাজার টাকা বকেয়া ছিল অভিনেত্রীর। মার্চ মাসে ২৮ দিনেই প্রায় ৫৫ হাজার টাকা বিল এসেছে। সঙ্গে আনুষঙ্গিক চার্জ মিলিয়ে অঙ্কটা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯১ হাজারে। তিনি এও বলেন, বিলটা সময়মতো মিটিয়ে দিলে এত বেশি মনে হত না। বকেয়া টাকা জমে জমেই এত বেশি হয়েছে। এই বিল কাণ্ড দেখে যে প্রশ্নটা উঠতে শুরু করেছে তা হল, কঙ্গনার (Kangana Ranaut) বাড়িতে এত বেশি ইলেকট্রিক বিল আসার কারণ কী?
আরো পড়ুন : শুক্রেই খুলতে পারে চাকরিহারাদের ভাগ্য? বড় পদক্ষেপ শিক্ষামন্ত্রী-এসএসসির
এ বিষয়ে সন্দীপ বলেন, কঙ্গনার বাড়িতে ৯৪ কিলোওয়াট লোডের কানেকশন রয়েছে। যেকোনো সাধারণ বাড়ির কানেকশনের চেয়ে তা প্রায় ১৫ গুণ বেশি। তিনি এও জানান, কঙ্গনাকে ৭০০ টাকার সাবসিডিও দেওয়া হয়েছে। বিলের টাকা থেকেই তা কেটে নেওয়া হয়েছে। সঙ্গে তিনি এও বলেন, বিদ্যুতের এই বিল নিয়ে কঙ্গনার বাড়ির তরফে তাদের সঙ্গে প্রকাশ্যে বা গোপনে কোনো কথাই বলা হয়নি।