বাংলা হান্ট ডেস্কঃ স্বরা ভাস্করের পর ইজরায়েল প্যালেস্টাইন সংঘর্ষ নিয়ে মন্তব্য করে এবার বিতর্কে জড়ালেন বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। ইজরায়েল প্যালেস্টাইন সংঘর্ষ প্রসঙ্গে প্যালেস্টাইনের পাশে দাঁড়িয়ে মন্তব্য করায় বিতর্কে জড়াতে হয়েছিল স্বরাকে। তবে কঙ্গনার ক্ষেত্রে বিষয়টি একেবারে উল্টো। নিজের ইসলামোফোবিক মন্তব্যের কারণেই ফের একবার পাকিস্তানের দুই অভিনেতা-অভিনেত্রী এবং সোশ্যাল মিডিয়া নেটিজেনদের কড়া সমালোচনার মুখে পড়লেন তিনি। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, বর্তমানে ইজরায়েলের ক্ষমতায় থাকা গাজা ভূখন্ড এবং জেরুজালেমের বেশ কিছু অংশে হামলা চালিয়েছিল প্যালেস্তানি জঙ্গি বাহিনী হামাস। তারই প্রত্যুত্তরে শুক্রবার জেরুজালেমের হারাম-এস-শরীফে সেনাবাহিনী পাঠায় ইজরায়েল।সেনাবাহিনীর গুলিতে মারা যান বহু প্যালেস্তানি, আহতও হন অনেকেই।
এই ঘটনায় ফের একবার ইজরায়েলের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেন কঙ্গনা। টুইটার থেকে সম্পূর্ণভাবে ব্যান হবার পর এখন টেলিগ্রাম এবং ইনস্টাগ্রামেই বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে নিজের মতামত জানান এই অভিনেত্রী। নিজের ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে এদিন তিনি লেখেন, “নিজের জাতিকে উগ্র জনগণ ও উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদ থেকে রক্ষা করা প্রতিটি জাতির মৌলিক অধিকার, এ বিষয়ে ভারত ইজরায়েলের সাথে আছে।”
কঙ্গনা আরও যোগ করেন, “যারা মনে করেন সন্ত্রাসবাদের উত্তর শুধুমাত্র ধরনা, ইজরায়েলের কাছ থেকে তাদের শেখা উচিত। ওরা সন্ত্রাসবাদ ছড়াবে, আর আপনি যদি কঠোরভাবে তার প্রতিবাদ করেন তাহলে নিজেদেরকে আক্রান্ত বানিয়ে কাঁদতে বসবে, ধারণা দেবে। তারপর আবার সংসদ এবং পাঁচতারা হোটেলে বিস্ফোরণ ঘটাবে। এটাই হলো উগ্র ইসলামী সন্ত্রাসবাদ।”
তার এই মন্তব্য ঘিরে বাকবিতণ্ডায় রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সরকার মিডিয়া। কঙ্গনা কঠিন সমালোচনা করে পাকিস্তানি অভিনেত্রী মায়া আলি লেখেন,”আমি আপনার জন্য দুঃখবোধ করছি কঙ্গনা। আপনি তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠুন। একজনের অন্তত সামান্যতম মানবিকতাবোধ থাকা দরকার।”
অন্যদিকে কঙ্গনাকে অসুস্থ বলে উল্লেখ করেন পাকিস্তানি অভিনেতা মুনিব বাটও। তিনি লেখেন, “অসুস্থ কঙ্গনা সাবাস। এবার জঘন্য নাৎসিদের দ্বারা অনুপ্রাণিত আরএসএস এবং ডানপন্থীরা আমাদের বিদ্যালয়ের পাঠ শেখাবে। আমি অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে প্রধানমন্ত্রী মোদির অকর্মণ্য তার জন্য তাদের দেশে বর্তমানে যে কোভিড মহামারী চলছে তা থেকে লোকের চোখ অন্যদিকে ঘুরিয়ে রাখার জন্য বিজেপি কঙ্গনাকে কত টাকা দেয়?”
শুধু পাকিস্তানি অভিনেতা-অভিনেত্রী নয় কঙ্গনার সমালোচনায় মুখর হয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ার অন্যান্য নেটিজেনরাও। অনেকেই কঙ্গনার এই ইসলামোফোবিক মানসিকতাকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছেন। অনেকেই বলেছেন কঙ্গনা রানাওয়াত হল আসল দেশবিরোধী। এখন আগামী দিনে পরিস্থিতি কোন দিকে গড়ায় সে দিকে নজর থাকবে সকলের।