বাংলাহান্ট ডেস্ক: কম বয়সে বাড়ি থেকে পালানো। অভিনেত্রী হওয়ার নেশায় মুম্বই হয়ে এসেছিলেন তরুণী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। তারপর বদসঙ্গে পড়ে মাদকের দৌলতে কেরিয়ার শুরু হওয়ার আগেই শেষ হতে বসেছিল। তাঁর লাইমলাইটের পথ দেখায় ‘গ্যাংস্টার’। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি কঙ্গনাকে।
কিন্তু কেরিয়ারের শুরুর দিকে অনেক ‘না’ শুনতে হয়েছে কঙ্গনাকে। তাও আবার এমন এক কারণের জন্য যা কেউ চিন্তাই করতে পারে না। কোঁকড়া চুল, হ্যাঁ নিজের জন্মগত চুলের ধরণের জন্য একের পর এক ছবিতে না শুনতে হত কঙ্গনাকে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী বলেন, তিনি খুব কম বয়সে ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছিলেন। একেবারে হিমাচলী ছাপ ছিল তাঁর মধ্যে। উপরন্তু ওই কোঁকড়া চুল। সবাই সবার আগে তাঁর চুলই দেখত। কঙ্গনা বলেন, তিনি চরমতম প্রতিক্রিয়া পেতেন। কারোর তাঁকে একেবারেই ভাল লাগত না। কারোর আবার খুব ভাল লাগত।
কঙ্গনা বলেন, “ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে কোঁকড়া চুলের কোনো অভিনেত্রী সফল হতে পারেননি। একের পর এক অডিশনে বাতিল হচ্ছিলাম আমি।” কিন্তু কথায় বলে, ঈশ্বর যা করেন মঙ্গলের জন্যই করেন। পরিচালক অনুরাগ বাসুর সঙ্গে সাক্ষাৎ হতে জীবন বদলে যায় কঙ্গনার।
তাঁর কোঁকড়া চুল অনুরাগের এতটাই পছন্দ হয়েছিল যে তিনি বলেছিলেন চুলটা কিচ্ছু করতে হবে না তাঁকে। যেমন আছে তেমনি থাকবে। কঙ্গনা বলেন, ২০০৬ এর সময়ে যেসব সিনেমা হত সেখানে প্রায়ই নায়িকাদের চুল ওড়ার দৃশ্য থাকত। সেসব দৃশ্যের জন্য একেবারেই উপযুক্ত ছিলেন না কঙ্গনা।
তাই নিজের মতো করে নিজের কেরিয়ারটা গুছিয়ে নিতে শুরু করেন কঙ্গনা। ধীরে ধীরে এক ধাপ করে উঠতে উঠতে আজ তিনি বলিউডের ‘কুইন’। একের পর এক নারীকেন্দ্রিক ছবিতে অভিনয় করছেন। আগামীতে ভারতীয় সিনেমার প্রথম মহিলা অ্যাকশন ধর্মী ছবি ‘ধাকড়’এ দেখা যাবে কঙ্গনাকে।