বাংলাহান্ট ডেস্ক: দু বছর ধরে অব্যাহত কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut) এবং জাভেদ আখতারের (Javed Akhtar) আইনি লড়াই। ২০২০ সালে অভিনেত্রীর মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন বর্ষীয়ান গীতিকার। গত সোমবার ছিল শুনানির তারিখ। আদালতে হাজিরা দিয়ে পালটা জাভেদের বিরুদ্ধে বিষ্ফোরক অভিযোগ আনেন কঙ্গনা। হৃতিক রোশনের কাছে ক্ষমা না চাওয়ায় গীতিকার নাকি তাঁকে হুমকি দিয়েছিলেন!
দু বছর আগে কঙ্গনার বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা দায়ের করেছিলেন জাভেদ আখতার। তার উত্তরে আবার গত বছর গীতিকারের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন অভিনেত্রী। সোমবার অন্ধেরি মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি ছিল সেই মামলার। আদালতে হাজিরা দিয়ে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগ এনেছেন কঙ্গনা।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ‘কুইন’ অভিনেত্রী দাবি করেছেন, হৃতিকের সঙ্গে যখন তাঁর সর্বসমক্ষে লড়াই চলছিল তখন একদিন জাভেদ আখতার কঙ্গনা ও তাঁর দিদি রঙ্গোলিকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। জোর করেছিলেন হৃতিকের কাছে লিখিত ভাবে ক্ষমা চাইতে। কঙ্গনা অস্বীকার করায় শুধু হুমকিই দেননি আখতার, তাঁর ভদ্রতাকেও অসম্মান করেছিলেন।
আদালতে দাঁড়িয়ে কঙ্গনা অভিযোগ করেছেন, জাভেদ নাকি তাঁকে এই বলে হুমকি দিয়েছিলেন যে সমাজে তাঁর বদনাম করে ছাড়বেন। চতুর্দিকে রটিয়ে দেবেন যে হৃতিক নয়, বরং প্রতারকদের সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন কঙ্গনা। মুখে কালি ছেটানো হবে তাঁর। চতুর্দিকে ঢিঢি পড়ে যাবে। তখন কঙ্গনার কাছে আত্মহত্যা করা ছাড়া আর কোনো উপায় থাকবে না বলেই নাকি হুমকি দিয়েছিলেন জাভেদ আখতার।
বর্ষীয়ান গীতিকার নাকি তাঁর পরিবারের সম্মানের প্রসঙ্গ তুলেও ব্ল্যাকমেল করেছিলেন কঙ্গনাকে। ভাল পরিবারের মেয়ে হয়ে লজ্জার ভাগীদার হতে হবে অভিনেত্রীকে, এমনি হুমকি দিয়েছিলেন জাভেদ আখতার। গীতিকারের মানহানির মামলার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে নতুন করে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলেছেন কঙ্গনা।