বাংলাহান্ট ডেস্ক: অনেকদিন পর আবারো চেনা ফর্মে অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। সোশ্যাল মিডিয়ায় পুরনো আক্রমণাত্মক মেজাজে পাওয়া গেল তাঁকে। অনেকদিন পর ফের কঙ্গনার নিশানায় পরিচালক মহেশ ভাট (Mahesh Bhatt)। নিজের আসল নাম ‘আসলাম’ বদলে ফেললেন কেন পরিচালক? প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন কঙ্গনা।
রবিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় একগুচ্ছ ভিডিও শেয়ার করেছেন কঙ্গনা। প্রতিটিই পরিচালকের কিছু পুরনো বক্তৃতার ভিডিও। একটি ভিডিওতে মহেশকে বলতে শোনা যাচ্ছে, “নিজের মধ্যেকার আগুনকে জাগিয়ে তুলুন। আমি যতদূর ইসলাম সম্পর্কে পড়েছি, তাতে আমি বুঝেছি যেখানে ভয় থাকে সেখানে ইসলাম থাকতে পারে না আর যেখানে ইসলাম আছে সেখানে ভয় থাকতে পারে না।” অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘মহেশ।ভাট জি উদ্দেশ্যহীন ভাবে আর কবিতা দিয়ে হিংসাকে উসকানি দিচ্ছেন।’
আরেকটি ভিডিওর সঙ্গে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘আমাকে বলা হয়েছিল ওঁর আসল নাম আসলাম। ওঁর দ্বিতীয় স্ত্রী সোনি রাজদানকে বিয়ে করার সময়ে ধর্মান্তরিত হন। এটা তো বেশ সুন্দর নাম। লুকিয়ে রাখেন কেন?’ অপর একটি ভিডিওতে অভিনেত্রী লিখেছেন, ‘ওঁর উচিত নিজের আসল নাম ব্যবহার করা। কোনো একটি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিত্ব না করা যখন তিনি ধর্মান্তরিত হয়েছেন।’
এর আগেও বহুবার মহেশ ভাটকে ‘মুভি মাফিয়া’ বলে আক্রমণ শানিয়েছেন কঙ্গনা। দু বছর আগে তিনি অভিযোগ করেছিলেন, ‘ধোখা’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিতে মেয়ে পূজা ভাটকে দিয়ে তাঁকে প্রায় নিগ্রহ করিয়েছিলেন মহেশ। আলিয়া ভাটকেও সময়ে অসময়ে তুলোধনা করেন কঙ্গনা।
চলতি বছরের শুরুতে আলিয়ার ‘গাঙ্গুবাঈ কাঠিয়াবাদি’ মুক্তির আগেও কটাক্ষ করেছিলেন কঙ্গনা। লিখেছিলেন, ‘২০০ কোটি টাকা বক্স অফিসে পুড়ে ছাই হবে, একজন পাপা (মুভি মাফিয়া ড্যাডি) কী পরীর (যে ব্রিটিশ পাসপোর্ট রাখতে ভালবাসে) জন্য। কারণ পাপা প্রমাণ করতে চায় যে রমকম করেও অভিনয় করা যায়। ছবিটার সবথেকে খারাপ দিকই হল কাস্টিং। এরা শুধরাবে না। দক্ষিণী ছবি ও হলিউডি ছবির দর্শক বাড়ছে এই কারণেই। যতদিন মুভি মাফিয়াদের হাতে ক্ষমতা রয়েছে ততদিন বলিউডের ভাগ্যে শনি নাচছে।’