বাংলাহান্ট ডেস্ক: বিতর্ক চিরদিনের সঙ্গী কঙ্গনা রানাওয়াতের (Kangana Ranaut)। বেশিরভাগ সময়ে তিনি নিজেই খাল কেটে কুমির ডেকে আনেন। বলিউডে থেকেই ইন্ডাস্ট্রির হেভিওয়েটদের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন অভিনেত্রী। স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলেছিলেন করন জোহর, আদিত্য চোপড়ার মতো বড় নামদের বিরুদ্ধে। বদলে হুমকিও শুনতে হয়েছে কঙ্গনাকে।
২০২০ সালের কথা কেউই ভুলতে পারেননি। করোনা তো ছিলই, পাশাপাশি বলিউডেও শনি নেমে এসেছিল সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গে। সেবারে কোনো রকম রাখঢাক না করেই কঙ্গনা আঙুল তুলেছিলেন করন, মহেশ ভাট, আদিত্য চোপড়াদের দিকে।
সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে ‘কুইন’ দাবি করেছিলেন, সুশান্তকে খুন করা হয়েছিল। না, তাঁকে হয়তো কেউই মারতে চাননি তবে অভিশাপ নিশ্চয়ই দিয়েছিলেন। মানসিক ভাবে আঘাত করে মেরে ফেলেছেন সুশান্তকে। একঘরে করে দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
উদাহরণ স্বরূপ কঙ্গনা বলেছিলেন, সঞ্জয় লীলা বনশালি প্রথমে ‘রামলীলা’ ছবির জন্য সুশান্তকেই বেছে ছিলেন। কিন্তু আদিত্য চোপড়া সেটা হতে দেননি। পাঁচ বছর ধরে সুশান্তের পেছনে পড়েছিলেন বনশালি, বাজিরাও মস্তানিতে তাঁকে দিয়ে অভিনয় করানোর জন্য। কিন্তু আবারো বাদ সাধেন আদিত্য। কারণ সুশান্ত চাটুকারিতাটা করতে পারতেন না। তাই তাঁর কেরিয়ার শেষ করে দেওয়া হয়েছিল।
এরপরেই কঙ্গনা বিষ্ফোরণ ঘটিয়েছিলেন। সলমন খানের ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য নাকি তাঁকে শেষ করে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, সলমনের ‘সুলতান’ ছবিতে নায়িকা হওয়ার প্রস্তাব নিয়ে তাঁর কাছে এসেছিলেন আদিত্য।
কঙ্গনা নম্রভাবেই প্রত্যাখ্যান করেছিলেন ছবিটি।মেনেও নিয়েছিলেন যশরাজ ফিল্মসের মালিক। কিন্তু তারপরে যখন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয় যে কঙ্গনা সুলতানের জন্য না বলেছেন, তখনি আত্মসম্মানে আঘাত লাগে প্রযোজকের।
কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, তাঁকে মেসেজ করে আদিত্য শাসিয়েছিলেন, তাঁর মতো মানুষকে না বলার সাহস হয় কীকরে? এমনকি তিনি নাকি কঙ্গনাকে শেষ করে দেওয়ার হুমকিও দিয়েছিলেন! সুলতান ছবিতে পরে অভিনয় করেছিলেন অনুষ্কা শর্মা। হিটও হয়েছিল ছবিটি।