বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চোপড়া কাণ্ড ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। রবিবার সমাজমাধ্যমে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল একটি ভিডিও। সেখানে দেখা যায়, এক যুগলকে মাটিতে ফেলে বেধড়ক মারধর করছে এক যুবক। সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট। এদিকে ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় (Chopra Incident) গ্রেফতার হয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা তাজমুল ওরফে জেসিবি।
সংসদে এই নিয়ে জোড়াফুল শিবিরকে একহাত নিয়েছেন বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। তিনি বলেন, মহিলাদের ওপর অত্যাচার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ওই তরুণীর বিরুদ্ধে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের অভিযোগে শরিয়তি আইন প্রয়োগ করা হয়েছে। আমি INDI জোটের অংশ তৃণমূল এবং মমতাদিদিকে জিজ্ঞেস করতে চাই, আপনারা সংবিধান রক্ষার দাবিতে সংসদে বিক্ষোভ করছেন। অথচ ওখানে যেভাবে মারধর করা হল সেটা কি সংবিধান বিরোধী নয়? একদিকে এই নিয়ে যখন উত্তাল রাজনৈতিক মহল। তখন তোলপাড় দাবি করলেন চোপড়া (Chopra) কাণ্ডের নির্যাতিতা। সোমবার সন্ধ্যায় ওই মহিলার একটি ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করেনি বাংলা হান্ট। এবার সেটি নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
ভাইরাল ওই ভিডিওয় ওই নির্যাতিতাকে বলতে শোনা যাচ্ছে, ‘আমার যে ভিডিও ভাইরাল হয়েছে, জানি না সেটা কে বা কারা ভাইরাল করেছে। আমি থানায় অভিযোগ জানিয়েছি, লিখিতও দিয়েছি। আমার মান সম্মান নশ্ত করা হয়েছে। আমার অনুমতি ছাড়া ওই ভিডিও ভাইরাল করা হয়েছে। যে ব্যক্তি ভাইরাল করেছে তাঁর বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি, তাঁকে শাস্তি দেওয়া হোক। পুলিশকে এই অনুরোধ করেছি। আমার পুলিশের ওপর বিশ্বাস আছে। যে ব্যক্তি আমার ওই ভিডিও ভাইরাল করল তাঁকে শাস্তি দেওয়ার অনুরোধ জানিয়েছি’।
আরও পড়ুনঃ জামিন পেলেন আরাবুল ইসলাম! ভাঙরের তৃণমূল নেতাকে ‘মুক্তি’ দিয়ে যা জানাল হাই কোর্ট…
নির্যাতিতার এই বয়ান রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছে। যে ব্যক্তি ভিডিও ভাইরাল করল তাঁকে শাস্তি এবং পুলিশের ওপর আস্থা, তাঁর এই দুই বয়ান নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা। আর এখানেই সন্দেশখালির থেকে আলাদা চোপড়া।
বিরোধীদের দাবি, এটা আসলে রাজ্যের শাসক দলের দাপট। ওই মহিলাকে লক্ষ্মীপুরেই থাকতে হবে। তাই এখন যদি শাসকদলের নেতার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন, তাহলে আখেরে তাঁর নিজের বিপদ বাড়তে পারে। সেই কারণেই কি তাহলে ‘উল্টো সুর’ শোনা যাচ্ছে নির্যাতিতার গলায়? শুরু হয়েছে জল্পনা।