বাংলা হান্ট ডেস্ক: বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী কাঙ্গনা রানাওয়াতেরএখন রাজনীতির ময়দানেও অত্যন্ত পরিচিত। সদ্য অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হয়েছেন তিনি। এরই মাঝে প্রথমদিন দিল্লি যাওয়ার পথেই মান্ডির ভাবি সংসদের সাথে ঘটে গেল বিপত্তি। চণ্ডীগড় এয়ারপোর্টের কুলবিন্দর কৌর নামে এক মহিলা সিআইএসএফ (CISF) জওয়ানের বিরুদ্ধে উঠল কঙ্গনাকে চড় মারার অভিষোগ।
কিন্তু হঠাৎ কেন এমন হেনস্থা করা হল মান্ডির ভাবি সংসদ কঙ্গনা-কে? কারণ হিসাবে জানা যাচ্ছে এদিন চন্ডিগড় বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকিংয়ের সময় বারবার বলা সত্ত্বেও নিজের মোবাইল ট্রে-তে রাখতে চাইছিলেন না কাঙ্গনা। উল্টে ওই মহিলা জওয়ানের ওপর মেজাজ দেখানোয় তাঁকে এদিন ভরা বিমানবন্দরে দাঁড়িয়েই কষিয়ে চোর মেরে দেন ওই মহিলা CISF।
শোনা যাচ্ছে এই ঘটনার পর কঙ্গনার সঙ্গে থাকা একজন সিকিউরিটিও ওই মহিলা CISF-কে পাল্টা চড় মেরেছিলেন। কঙ্গনা এদিন দিল্লি উড়ে গিয়েছেন বিকেল তিনটের ভিস্তারা ফ্লাইটে। এবারের লোকসভা নির্বাচনে হিমাচল প্রদেশের মান্ডি থেকে ভোটে দাঁড়িয়ে জয়লাভ করেছেন কঙ্গনা। প্রসঙ্গত এরইমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একজন মহিলা জওয়ানের ছবি। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে অনেকেই দাবি করছেন ইনিই চড় মেরেছেন কঙ্গনাকে। যদিও আদৌ ইনিই ওই মহিলা জওয়ান কিনা তা খতিয়ে দেখেনি বাংলা হান্ট।
আরও পড়ুন: ‘আমায় জেলে ঢুকিয়ে দিন’! দেবের কাছে হেরে এ কি বললেন হিরণ?
এর পিছনে কী কারণ রয়েছে, তা নিয়েও সন্দেহ রয়েছে। কিন্তু কেন এই আক্রমণ? উল্লেখ্য অতীতে কৃষক আন্দোলন প্রসঙ্গে বেফাঁস মন্তব্য করেছিলেন ‘কন্ট্রোভার্সি কুইন’ কঙ্গনা। আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের খালিস্তানি বলেও দাগিয়ে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেই পুরোনো ক্ষোভ এতদিন নিজের মনে পুষে রেখেছিলেন ওই সিআইএসএফ জওয়ান। তাই এদিন তিনি জানান, কঙ্গনা বলেছিলেন, ‘১০০ টাকার বিনিময়ে নাকি মহিলারা আন্দোলনে বসে আছে। সেই আন্দোলনে তখন আমার মা-ও ছিল।’ তাই আজ সময় আর সুযোগ মিলতেই কঙ্গনাকে সজোরে থাপ্পড় কষাতে দু’বার ভাবেননি ওই অফিসার।
জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী এই নির্বাচনে ধরাশায়ী করেছেন কংগ্রেসের প্রতিদ্বন্দ্বী বিক্রমাদিত্য শিংকে। ইলেকশন কমিশনের রিপোর্ট বলছে প্রথমবার ভোটে দাঁড়িয়েই অভিনেত্রী থেকে নেত্রী হওয়া কঙ্গনা মোট ৭৪ হাজার ৭৫৫ টি ভোটে জয়লাভ করেছেন। এবারের নির্বাচনে তাঁর প্রাপ্য মোট ভোটের পরিমাণ ৫ লক্ষ ৩৭হাজার ২২টি।
প্রসঙ্গত গত মঙ্গলবার ভোটে জেতার পর প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়ে কঙ্গনা জানিয়েছিলেন, ‘এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল। যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, তাই নানা অনিশ্চয়তা ছিল। এটা আমার প্রথম জয়ও। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয় কর্মীদের। নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে। যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ। তবে মাথা নত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে। মাণ্ডিকন্যা, মাণ্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে। মাণ্ডির সেনা হিসেবে মাণ্ডিকে রক্ষা করব। বিকাশ করব।’