বাংলাহান্ট ডেস্ক: ফের আইনি বিতর্কে জড়ালেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। এক নামী ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন তিনি। ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে অনৈতিকতা এবং দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন তিনি। তারপরেই ওই ম্যাগাজিনের তরফে তীব্র বিরোধিতা করে কঙ্গনার মন্তব্যকে ‘মিথ্যে’ এবং ‘মর্যাদাহানিকর’ বলে দাবি করা হয়। এর উত্তরেই কঙ্গনা ঘোষন করে ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন তিনি।
ফিল্মফেয়ার ম্যাগাজিনের অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে ‘থালাইভি’ ছবির জন্য সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন পেয়েছিলেন কঙ্গনা। সেই খবরটা জানিয়ে অভিনেত্রী দাবি করেন, ২০১৩ সালে এই ম্যাগাজিনের তরফেই তাঁকে বলা হয়েছিল যে তাদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকলে বা মঞ্চে না নাচলে পুরস্কার দেওয়া হবে না তাঁকে।
কঙ্গনা জানান, তিনি নাকি তখনি বলে দিয়েছিলেন এমন কোনো অনুষ্ঠানেই তিনি থাকবেন না যা কিনা অনৈতিক। ওই ম্যাগাজিনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করার কথা তিনি চিন্তা করছেন বলেও জানিয়েছিলেন কঙ্গনা। তার পরপরই ওই ম্যাগাজিনের তরফে একটি বিবৃতিতে দাবি করা হয়, কঙ্গনার বক্তব্য মিথ্যে, দায়িত্বজ্ঞানহীন এবং মর্যাদাহানিকর। তাই সেরা অভিনেত্রীর মনোনয়ন থেকে তাঁর নাম সরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
বিবৃতিতে ম্যাগাজিনের তরফে দাবি করা হয়, কঙ্গনার নাম মনোনীত হয়েছে এই খবরটা জানিয়ে তাঁর কাছে বাড়ির ঠিকানা চাওয়া হয়েছিল যাতে অনুষ্ঠানের আমন্ত্রণ পাঠানো যায়। তাঁকে অনুষ্ঠানে নাচার কথা একবারও বলা হয়নি। কঙ্গনা যা বলেছেন সবটাই মিথ্যে অভিযোগ।
ভারতীয় সিনেমাকে উদযাপন করতে সবাইকে এক ছাদের তলায় আনার জন্য একটা উদ্যোগ নিয়েছে ফিল্মফেয়ার। মনোনীত অভিনেতা অভিনেত্রী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকুন বা না থাকুন, এতে পুরস্কার প্রদানে কোনো হেরফের হয় না। এমনকি কঙ্গনা নিজেই যে পাঁচবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন তার মধ্যে দুবার তাঁর অনুপস্থিতিতে দেওয়া হয়েছে পুরস্কার।
সঙ্গে আরো জানানো হয়, ম্যাগাজিনের সম্মানহানি এবং ভাবমূর্তি নষ্ট করার অভিযোগে কঙ্গনার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার অধিকার তাদের রয়েছে। এরপরেই মেজাজ হারান ‘কুইন’। এইসব ‘অনৈতিক’ এবং ‘দূষিত’ অ্যাওয়ার্ড শো বন্ধ করতে তিনি আইনি পথই নেবেন, স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন কঙ্গনা।