বাংলাহান্ট ডেস্ক: একূল ওকূল দু কূলই গিয়েছে উদ্ধব ঠাকরের (Uddhav Thackeray)। শিবসেনা দল আগেই হাতছাড়া হয়েছে, এবার নির্বাচনী প্রতীকও খুইয়ে বসলেন ঠাকরেরা। শিবসেনা দলের পাশাপাশি তীর ধনুক চিহ্নও একনাথ শিন্ডেরই, রায় ঘোষণা করে দিয়েছে ভারতীয় নির্বাচন কমিশন। উদ্ধবের এই সর্বহারা অবস্থা কার্যত তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করছেন অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত (Kangana Ranaut)। সরাসরি উদ্ধব ঠাকরেকে কটাক্ষ শানাতেও ছাড়েননি তিনি।
উদ্ধব-কঙ্গনার বিবাদ নতুন নয়। কেন্দ্রীয় সরকারকে সমর্থন করে বিভিন্ন সময়ে মহারাষ্ট্রে প্রাক্তন উদ্ধব সরকারকে তুলোধনা করেছেন অভিনেত্রী। কিন্তু তাঁদের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছায় যখন কঙ্গনার অনুপস্থিতিতে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগ তুলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয় তাঁর অফিস। বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের এই কাণ্ডে রেগে আগুন হয়ে গিয়েছিলেন কঙ্গনা। সরাসরি অভিশাপ দিয়েছিলেন উদ্ধবকে, ‘আজ আমার বাড়ি ভেঙেছে। কাল তোর অহঙ্কার ভাঙবে’।
উদ্ধব ঠাকরে যখন মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে এক রকম মুখ লুকিয়ে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন, তখন আবারো ভাইরাল হয়েছিল কঙ্গনার ভিডিও। অনেকেই দাবি করেছিলেন, অভিনেত্রীর অভিশাপেই এই দশা ঠাকরের। এখন তাঁর সর্বস্বান্ত অবস্থায় আবারো ফিরে এল কঙ্গনার স্মৃতিই। অভিনেত্রীর পুরনো টুইট শেয়ার করে বিতর্ক উসকে দিচ্ছেন টুইটার ব্যবহারকারীরা।
কী লেখা রয়েছে কঙ্গনার টুইটে? অভিনেত্রী লিখেছিলেন, ‘যে সাধুদের হত্যা আর মহিলাদের অপমান করে তার পতন নিশ্চিত’। টুইটটি শেয়ার করে একজন লিখেছেন, কঙ্গনার ভবিষ্যৎবাণী সত্যি হয়ে গেল। পালটা অভিনেত্রী লেখেন, ওটা ভবিষ্যৎবাণী নয়, কমন সেন্স ছিল।
পাশাপাশি আরো একজনের টুইটের উত্তরে ‘কুইন’ লেখেন, ‘কুকর্ম করলে স্বয়ং দেবরাজ ইন্দ্রেরও স্বর্গ থেকে পতন হয়, আর উনি তো শুধু একজন নেতা। যেদিন উনি অন্যায় ভাবে আমার ঘর ভেঙেছিলেন, আমি সেদিনই বুঝে গিয়েছিলাম যে ওঁর পতন অবশ্যম্ভাবী। ভাল কাজ করে দেবতারা উপরে উঠতে পারে, কিন্তু মহিলাদের অসম্মান করলে সে কখনো উঠতে পারবে না’।