বাংলাহান্ট ডেস্ক: বেশ কিছুদিন ধরেই লাইমলাইটে রয়েছেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই বিভিন্ন বিষয়ে নিজের মতামত প্রকাশ করতে থাকেন অভিনেত্রী। বলিউডের একাংশের বিরুদ্ধে বহুবারই তোপ দাগতে দেখা গিয়েছে কঙ্গনাকে।
চিরদিনই সোশ্যাল মিডিয়ায় অতি মাত্রায় সক্রিয় কঙ্গনা। কিন্তু সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকে নিজেই সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেলগুলি চালনা করতে শুরু করেছেন তিনি। আর তখন থেকেই একের পর এক টুইটে কার্যত নাস্তানাবুদ করে ছাড়ছেন বলি তারকা তথা রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের।
এবার ফের একটি টুইট করেছেন অভিনেত্রী। তবে এবার তাঁর গলায় অন্য সুর। সমালোচকদের উদ্দেশে তীব্র কটাক্ষ হেনে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁকে না পোষালে নিজেরাই সরে যেতে। টুইটে কঙ্গনা লেখেন, ‘যারা সারাদিন আমার টুইট লক্ষ্য করেন আর বলতে থাকেন তারা বিরক্ত হয়ে যাচ্ছেন, আমার এবার চুপ করা উচিত, তারা আমাকে আনফলো বা ব্লক করে দিন। যদি আপনি তা না করেন তাহলে আপনি আমার প্রতি আসক্ত। ঘৃণার মতো করে ভালবাসবেন না। কিন্তু আর কোনো উপায় না থাকলে তাই করুন।’
All the fans who keep checking my tweets all day and keep declaring they are bored/tired and ask me to stay quiet should Mute/unfollow or Block me, if you don’t then you are clearly obsessed. Don’t love me like a hater but if you don’t know any better then go for it 🙂
Love❤️— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) November 9, 2020
সম্প্রতি একটি ভিডিও বার্তায় উদ্ধব ও আদিত্য ঠাকরেকে কড়া নিশানা করে অভিনেত্রী বলেন, “অনেকে তো এটাও জানেন না যে অর্ণব গোস্বামীকে কি কারণে জেলে পাঠানো হয়েছে। ২০১৮ তে এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেন। সুইসাইড নোটে কয়েকজনের নাম লিখে তিনি জানিয়েছিলেন অর্ণব গোস্বামী তাঁর টাকা সময় মতো ফেরত দেননি তাই তিনি আত্মহত্যা করছেন। ওঁর টিম বলছে উনি দিয়ে দিয়েছিলেন।”
তিনি আরো বলেন, “এটা তো আদালতই বলতে পারবে কেউ টাকা না দিতে পারলে, দিতে দেরি হয়ে গেলে আত্মহত্যা গ্রহণযোগ্য কিনা। এতে ট্রায়াল করা যায় কিনা। এটা সবাই জানে কিসের জন্য আজ ওঁকে জেলে পাঠানো হয়েছে, ওঁর উপর অত্যাচার হচ্ছে। পাপ্পু সেনা ওঁকে সোনিয়ার আসল নাম, ফ্যাসিস্ট সরকারের নাম নেওয়ার জন্য এমনটা করছে।”
এরপরে কঙ্গনা জোর গলায় বলেন, “কিন্তু পাপ্পু সেনা জানে না ওরা যে এই ভুলটা করল এতে প্রমাণ হয়ে গিয়েছে অর্ণব গোস্বামী সবথেকে জনপ্রিয় সাংবাদিক। ওরা ওঁকে যত অত্যাচার করবে ওঁর জনপ্রিয়তা ততই বাড়বে। ইতিহাসে মনে রাখা হবে পাপ্পু সেনা সংবিধানের চতুর্থ স্তম্ভের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করেছিল ও ইতিহাসে অর্ণব গোস্বামীকে একজন হিরো হিসাবে মনে রাখা হবে।”