বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো প্রকাশ্যে আলিয়া ভাট (alia bhatt) কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat) সংঘাত। হিন্দু সংষ্কৃতির অপমান করেছেন আলিয়া, এমনি অভিযোগ তুলে প্রকাশ্যে সোশ্যাল মিডিয়ায় অভিনেত্রীকে তুলোধনা করলেন ‘কুইন’ অভিনেত্রী। কন্যাদান নয়, কন্যামান হওয়া উচিত। একটি নামী পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে এই বার্তা দেওয়ায় গত কয়েকদিন ধরেই ট্রোলের শিকার হয়ে চলেছেন আলিয়া। এই বিজ্ঞাপনের প্রসঙ্গ তুলেই অভিনেত্রীকে বিঁধেছেন কঙ্গনা।
বেশ অনেকদিন আগেই টুইটার থেকে বিতাড়িত হয়েছেন কঙ্গনা। তাই এখন নিজের ইনস্টা হ্যান্ডেলের মাধ্যমেই মতামত জাহির করেন তিনি। এই বিষয়েও ইনস্টাগ্রামে কঙ্গনা লিখেছেন, ‘টেলিভিশনে আমরা প্রায়ই দেখি কোনো শহিদ জওয়ানের বাবা বলছেন, আমার আরেক ছেলেকেও দেশ মায়ের সেবার জন্য দান করব। কন্যাদান হোক বা পুত্রদান, ত্যাগকে যেভাবে সমাজ দেখে তাতে তার অন্তরের মূল্যবোধের পরিচয় পাওয়া যায়।’
কঙ্গনা আরো লিখেছেন, ‘যখনি দানকে নীচু করে দেখা হবে তখনি বোঝা যাবে যে রাম রাজ্যের পুনর্প্রতিষ্ঠার সময় এসে গিয়েছে। যে রাজা নিজের ভালবাসার সবকিছু দান করে দিয়েছিলেন তপস্বী হওয়ার জন্য। হিন্দু ও তাদের সংষ্কৃতিকে বিদ্রূপ করা বন্ধ করুন। নারী ও প্রকৃতিকে উর্বরতার প্রতীক হিসেবে পূজা করা হয়। তাদের শক্তি রূপে দেখার মধ্যে কোনো ভুল নেই।’
https://www.instagram.com/p/CUE53l3MuPA/?utm_medium=copy_link
https://www.instagram.com/p/CUFCN9Vs8vg/?utm_medium=copy_link
হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে অভিনেত্রীর বক্তব্য, বিয়েতে একজন নারী তার গোত্র, তার রক্তের সম্পর্ক ত্যাগ করে আরেকটি গোত্র এব রক্তের সম্পর্কে পা রাখে। শুধুমাত্র নিজের বাবা না, সমস্ত পূর্বপুরুষ যাদের সঙ্গে তার রক্তের সম্পর্ক রয়েছে সকলের অনুমতি দরকার হয় তার। তাই বাবা সকলের তরফ থেকে অনুমতি নিয়ে নিজের মেয়েকে মুক্তি দেয়। কিন্তু কিছু মানুষ এই বিজ্ঞান বুঝবে না। তাই এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলি বয়কট করাই উচিত।
প্রসঙ্গত, আলিয়া অভিনীত একটি নামী পোশাক প্রস্তুতকারক সংস্থার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে বার্তা দেওয়া হয় কন্যাদানের মতো রীতি বদলে কন্যামান হওয়া উচিত। এরপর থেকেই নেটিজেনদের একাংশের তীব্র ক্ষোভের সম্মুখীন হন অভিনেত্রী। রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের একাংশ দারুন ক্ষেপেছেন এই বিজ্ঞাপন দেখে। আবার অনেকে এই আধুনিক মানসিকতার প্রশংসাও করেছেন।