বাংলাহান্ট ডেস্ক: সুশান্ত সিং রাজপুতের (sushant singh rajput) মৃত্যুর পর বলিউডে নেপোটিজম, বুলিং ইত্যাদি নিয়ে সরব হয়েছিলেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। ক্ষুব্ধ কঙ্গনা বলিউড ইন্ডাস্ট্রির কাছে প্রশ্ন ছুঁড়ে দিয়েছেন, সুশান্তের মৃত্যু আদৌ আত্মহত্যা ছিল নাকি পরিকল্পিত হত্যা? এবার ফের আসরে নেমেছেন অভিনেত্রী। বলিউড মুভি মাফিয়াদের ঘনিষ্ঠ সংবাদ মাধ্যমদের (media) উদ্দেশে কার্যত তোপ দেগেছেন কঙ্গনা।
সম্প্রতি আরও একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করেছেন কঙ্গনা। সেখানে সুশান্তকে নিয়ে লেখা কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমের পু্রনো প্রতিবেদন পড়ে শুনিয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, মুভি মাফিয়ারা সুশান্তের ছবি আটকে দিয়ে তাঁকে তড়পে তড়পে মেরেছেন। সরাসরি নাম না করে মিথ্যে খবর দিয়ে প্রতিবেদন লেখা হয়েছে সুশান্তের নামে।
মিডিয়াকে মুভি মাফিয়াদের পালিত ‘চিল শকুন’ এর তকমা দিয়ে কঙ্গনা বলেছেন, এই ধরনের মানসিক অত্যাচারকে এরা সাংবাদিকতা বলে। তিনি আরও বলেন, তাঁর সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটায় তিনি রুখে দাঁড়িয়েছিলেন। তখন রাতারাতি কয়েকজন বর্ষীয়ান সাংবাদিক বয়কটের ডাক দেন তাঁকে। তবে এরপর তাঁর ছবি মুক্তি পেলে গায়েব হয়ে যখন ওই সাংবাদিকরা।
কঙ্গনা অভিযোগ করেছেন, তারকা সন্তানদের সম্পর্কে কখনোই এমন মিথ্যে প্রতিবেদন লেখা হয় না। সমাজের এবার উচিত সচেতন হওয়া এইসব মিথ্যে প্রতিবেদন সম্পর্কে। এমনটাই বক্তব্য কঙ্গনার।
Emotional, psychological & mental lynching •
On an individual happens openly and we all are all guilty of watching it silently. Is blaming the system enough? Will there ever be change? Are we going to see a monumental shift in the narrative on how outsiders are treated? pic.twitter.com/DKmR1JhlDV— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) June 19, 2020
প্রসঙ্গত, এর আগে জাভেদ আখতারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন কঙ্গনা। হৃতিক রোশনের পরিবারের পুরনো বাদানুবাদের প্রসঙ্গ তুলে অভিনেত্রী অভিযোগ করেন, জাভেদ আখতার তাঁকে বলেছিলেন রোশন পরিবারের কাছে ক্ষমা চাইতে। নাহলে তাঁকে আত্মহত্যা করতে হবে।
সম্প্রতি একটি সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে এই প্রসঙ্গে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “একবার জাভেদ আখতার আমাকে বাড়িতে ডেকে বলেন রাকেশ রোশন ও তাঁর পরিবার খুব বড়। যদি তুমি ওদের কাছে ক্ষমা না চাও তাহলে তোমার কিছু করার থাকবে না। ওরা তোমাকে জেলে পুরবেন আর এরপর তোমার কাছে আত্মহত্যা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না। ওনার এমন কেন মনে হল যে আমি হৃতিকের কাছে ক্ষমা না চাইলে আত্মহত্যা করব।”