বাংলাহান্ট ডেস্ক: হাথরাসের (hathras) গণধর্ষিতার অভিযুক্তরা শাস্তি পাবেই। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের (yogi adityanath) উপর পূর্ণ বিশ্বাস রয়েছে, এমনটাই জানালেন কঙ্গনা রানাওয়াত (kangana ranawat)। এর আগেই দোষীদের কঠোর শাস্তি চেয়ে টুইট করেন তিনি। ধর্ষকদের প্রকাশ্যে গুলি করে খুন করা হোক, এমনি চেয়েছেন অভিনেত্রী।
এবার ফের একটি টুইট করেছেন কঙ্গনা। তিনি লেখেন, ‘যোগী আদিত্যনাথ জির উপর আমার পূর্ণ আস্থা রয়েছে। ঠিক যেভাবে প্রিয়াঙ্কা রেড্ডির ধর্ষকদের তাঁর ধর্ষণের জায়গাতেই গুলি করে খুন করা হয়েছিল, হাথরাসের গণধর্ষিতার জন্যও তেমনি বিচার চাই।’
I have immense faith in @myogiadityanath ji, just how Priyanka Reddy rapists were shot dead on the very spot they raped and burnt her alive we want the same emotional, instinctive and impulsive justice for #HathrasHorror #HathrasHorrorShocksIndia
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 30, 2020
গতকাল টুইটে কঙ্গনা লেখেন, ‘ধর্ষকদের প্রকাশ্যে গুলি করে মারা হোক। প্রত্যেক বছর যে হারে গণধর্ষণের সংখ্যা বেড়ে চলেছে তার সমাধান কি? এই দেশের জন্য কি দুঃখ ও লজ্জাজনক দিন। আমাদের লজ্জা হওয়া উচিত, মেয়েদের রক্ষা করতে না পারার জন্য।’
Shoot these rapists publicly, what is the solution to these gang rapes that are growing in numbers every year? What a sad and shameful day for this country. Shame on us we failed our daughters #RIPManishaValmiki
— Kangana Ranaut (@KanganaTeam) September 29, 2020
গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তর প্রদেশের হাথরাসে কয়েকজন উচ্চবর্ণের লালসার শিকার হয় এক দলিত তরুণী। মাঠ থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে অকথ্য অত্যাচার চালানো হয় ওই ১৯ বছরের তরুণীর উপর। এমনকি তারপর তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টাও করা হয়। জানা গিয়েছে, তরুণীর জিভও কেটে নেয় বর্বর অভিযুক্তরা। ভেঙে যায় গলার পেছনে ঘাড়ের হাড়।
এরপরেও ধর্ষকদের নাম নিজের বয়ানে উল্লেখ করেন ধর্ষিতা তরুণী। গত সোমবার আলিগড়ের জওহরলাল নেহরু মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে দিল্লির সফদর জং হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ওই তরুণীকে। সেখানেই গতকাল মৃত্যু হয় তার।
এই ঘটনায় গোটা দেশ রাগে ফুঁসছে। গণধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। তাদের বিরুদ্ধে ৩০৭ ও ৩৭৬ডি ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথ আজ দেখা করে কথা বলেছেন ধর্ষিতার পরিবারের সঙ্গে।