বাংলাদেশের সরকারি ওষুধ বিলোচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতাল! ধরা পড়ল হাতেনাতে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : বাংলাদেশের ওষুধ রোগীদের বিলি করা হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সরকারি হাসপাতালে। এবার এহেন ভয়াবহ অভিযোগ উঠল কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের বিরুদ্ধে। এই বিষয়ে কিছুই জানেন না,সাফ জানিয়ে দিয়েছেন হাসপাতালের সুপার৷

এদিন দুপুর নাগাদ কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে বেশ ভীড় ছিল রোগীদের। চিকিৎসকদের লিখে দেওয়া প্রেসক্রিপশন মতন হাসপাতাল থেকেই চলছিল সরকারি ওষুধ বিলি। কিন্তু সেই সময়েই হঠাৎ দেখা যায় যে হাসপাতালের তরফে যে ওষুধ গুলি বিলি করা হচ্ছে রোগীদের মধ্যে সেগুলি ভারতেরই নয়। ওষুধগুলি বাংলাদেশে তৈরি হয়েছে বলেই অভিযোগ। কিন্তু কীভাবে সরকারি হাসপাতালে এসে পৌঁছালো বাংলাদেশের ওষুধ? কাদের মাধ্যমে চলছে এই ওষুধ পাচার? কীসেরই বা ওষুধ সেগুলি?

এই বিষয়ে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি। কোথা থেকে এই ওষুধ হাসপাতালে এসে পৌঁছালো, কার অনুমোদনে বিলি করা হল এই ওষুধ সেই সব কিছু সম্পর্কেই তিনি অবগত বলে সাফ জানান সুপার। অভিযোগ ওঠার পরই প্রথম জেনেছেন পুরো বিষয়টি এমনই দাবি তাঁর।

স্বভাবতই এহেন ঘটনা জানাজানি হওয়ার পরই তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন রোগীরা। তাঁদের অভিযোগ, রোগীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলছে সরকার। এক রোগীর আত্মীয়ের অভিযোগ, ‘আমরা অত ভালো পড়াশোনা জানি না। ডাক্তারবাবু যে ওষুধ লিখে দেন সেই ওষুধই নিয়ে যাই হাসপাতাল থেকে। কিন্তু আজকে জানতে পারছি এই ওষুধ ঠিক ওষুধ নয়। বাংলাদেশ থেকে এসেছে এই ওষুধ।’ ভুল ওষুধ খেয়ে কারও কিছু হলে তার জন্য দায়ি থাকবে কে, সেই প্রশ্নও তুলতে দেখা গেছে তাঁকে। একই দাবি কার্যতই সমস্ত রোগীদেরই।

অন্যদিকে আবার এই ঘটনাটিকে হাতিয়ার করে শাসকদলকে একহাত নিয়েছেন শালতোড়ার বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউড়ি। এদিন স্যোশাল মিডিয়ায় তিনি বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিম বাংলাদেশ হওয়ার দিকেই এগোচ্ছে। বাংলাদেশ সরকারের সরকারি ওষুধ দেওয়া হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সরকারি হাসপাতালে।’

ঘটনার জেরে চাঞ্চল্য ছড়ায় হাসপাতাল চত্ত্বর এবং এলাকায়। এখনও অবধি এই বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি শাসক দলের তরফে। তবে কীভাবে বাংলাদেশ থেকে বাংলায় এলো এই ওষুধ, আদৌ ওষুধগুলি ভালো নাকি সরকারের নাকের ডগাতেই চলছে জাল ওষুধ পাচারের কারবার, বারবার উঠে আসছে এই প্রশ্ন গুলিই।


Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর