বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প ‘কন্যাশ্রী’ (Kanyashree)। যার জনপ্রিয়তা শুধু বাংলাতেই নয়, দেশের সীমানা ছাড়িয়ে ছড়িয়ে পড়েছে বিদেশেও। বলা যেতে পারে এ রাজ্যের মেয়েদের জন্য অভিনব এক প্রকল্প এই কন্যাশ্রী। তবে এবার কোনো মেয়ে নয় বরং এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে গিয়ে ঢুকল কন্যাশ্রীর টাকা।
দুবরাজপুরের (Dubrajpur) হেতমপুর রাজ গার্লস হাই স্কুলের প্রাক্তন ছাত্রী সুমিত্রা দাসের কন্যাশ্রী টাকা গিয়ে ঢুকেছে প্রতাপ সরকার নামের এক ব্যক্তির অ্যাকাউন্টে। তবে কিভাবে? জানা গিয়েছে, অ্যাকাউন্টের সামান্য একটি অক্ষরের ভুলের জন্য কন্যাশ্রী টাকা পায়নি হেতমপুর রাজ উচ্চ বিদ্যালয়ের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুমিত্রা দাস।
এদিকে সামান্য এই ভুলের জন্য মাসুল গুনতে হচ্ছে সুমিত্রাকে। ছাত্রীর ইচ্ছা কন্যাশ্রীর টাকা পেলে পরবর্তীতে সেই টাকায় পড়াশোনা চালিয়ে যাবে। তবে সেই টাকা না পাওয়ায় বর্তমানে টিউশন পড়তে পারছে না একাদশ শ্রেণীর কলা বিভাগের ওই ছাত্রী। বহু কষ্টে অভাবের মধ্য দিয়ে দিন চলে ওই ছাত্রীর পরিবারের। তাই টাকা না পাওয়ায় সমস্যায় পড়েছে ওই ছাত্রী।
ইতিমধ্যেই স্কুলে, ব্লক অফিস পাশাপাশি সিউড়ির অফিসেও গিয়েও এই বিষয়ে জানিয়েছে। কিন্তু এখনও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। যেখানে কন্যাশ্রীর টাকা মেয়েদের পাওয়ার কথা সেখানে তার টাকা কিভাবে কোনো ছেলের অ্যাকাউন্টে ঢুকল সেই ভেবেই কূলকিনারা পাচ্ছে না ছাত্রী ও তার পরিবার। ছাত্রীর বাবা দিনমজুরের কাজ করে ফলে স্বাভাবিকভাবেই হতাশার ছায়া নেমে এসেছে পরিবারে।
এই বিষয়ে টিচার ইনচার্জ গৌতমী মুখার্জী বলেন, “দুবরাজপুর ব্লক অফিসে লিখিত ভাবে জানানো হয়েছে এই সমস্যার কথা। ছাত্রীটি যাতে টাকা পায় তার সমস্ত রকম ব্যবস্থা করা হয়েছে।” পাশাপাশি দুবরাজপুরের বিডিও জানান, ‘ছাত্রীর অভিযোগটা পেয়েছি। ইতিমধ্যেই জেলাতেও জানানো হয়েছে এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখা হচ্ছে। কন্যাশ্রী হিসেবে ওর প্রাপ্য টাকা যেন ওর অ্যাকাউন্টে যায়। ছাত্রী তার টাকা অ্যাকাউন্টে পেয়ে যাবে বলে আমরা আশাবাদী। “