বাংলাহান্ট ডেস্ক: বড়দিন আসতে বাকি আর মাত্র তিনদিন। তার ঠিক আগেই ২৪ ডিসেম্বর মুক্তি পাবে রণবীর সিং (ranveer singh) অভিনীত ‘৮৩’। ১৯৮৩ সালে ভারতের প্রথম বার বিশ্বজয়ের কাহিনি উঠে আসবে এই ছবিতে। ছবি নিয়ে উত্তেজনা অব্যাহত। ছবি সংক্রান্ত ছোট ছোট বিষয় জানতেও মুখিয়ে রয়েছে দর্শকরা। একা রণবীর নয়, ৮৩ র বিশ্বকাপে কপিল দেবের (kapil dev) গোটা দলকে ফুটিয়ে তোলার জন্য ছবিতে রয়েছেন তাবড় অভিনেতারা।
ট্রেলারেই মোটামুটি বোঝা গিয়েছিল ঠিক কতটা নিখুঁত হতে চলেছে ছবি। বাকিটা বোঝা যাবে সম্পূর্ণ ছবিটা দেখলে। ১৯৮৩ র ঘটনা ২০২১ এ পর্দায় ফুটিয়ে তোলার জন্য কার্যত মাথার ঘাম পায়ে ফেলে খেটেছেন রণবীররা। কিন্তু এই পরিশ্রমের নেপথ্যে যাদের নাম না করলেই নয় তারা হলেন কপিল দেব সহ তাঁর গোটা টিম।
তাঁরা যে শুধু দেশকে বিশ্বকাপ এনে দিয়েছিলেন তাই নয়, সেই ঐতিহাসিক ঘটনা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে সাহায্যও করেছেন ছবির গোটা টিমকে। আসলে ছবিতে সমস্ত চরিত্রের বাস্তবায়ন করার জন্য আসল মানুষদের স্মৃতিচারণার উপরেই জোর দিয়েছিলেন নির্মাতারা।
কপিল দেব ও অন্য খেলোয়াড়দের মুখে সেই ম্যাচের বিস্তারিত ঘটনা শুনে এবং তাঁদের গভীরভাবে পর্যবেক্ষণের পরেই চরিত্রগুলি ফুটিয়ে তুলেছেন অভিনেতারা। এর জন্য অবশ্য কপিল দেবের টিমকে মোটা অঙ্কের টাকা দক্ষিণা দিতে হয়েছে ছবি নির্মাতাদের। সূত্রের খবর মানলে রণবীরদের গাইড করার জন্য ৫ কোটি টাকা নিয়েছেন কপিল। সব মিলিয়ে মোট ১৫ কোটি টাকা দিতে হয়েছে ৮৩ র টিমকে।
এদিকে ছবিমুক্তির আগেই প্রতিযোগিতার মধ্যে পড়তে হয়েছে রণবীরদের ছবিকে। সম্প্রতি মুক্তি পেয়েছে বহু প্রতীক্ষিত হলিউড ছবি ‘স্পাইডার ম্যান: নো ওয়ে হোম’। মুক্তি পেয়েই ছক্কা হাঁকাতে শুরু করেছে এই ছবি। এদিকে দুদিন পরেই মুক্তি পাবে ৮৩। এমতাবস্থায় ছবির মুক্তি নিয়ে ভিন্ন মত পোষন করছেন প্রযোজক ও এক্সিবিটররা।
আসলে দুটি ছবি নিয়েই উন্মাদনা তুঙ্গে থাকলেও দর্শকদের পছন্দের খাতিরে এগিয়ে রয়েছে হলিউড ছবিই। ভোর ছটার শোও হাউজফুল হচ্ছে স্পাইডার ম্যানের। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রিলায়েন্স এন্টারমেন্ট ৮৩ র জন্য প্রত্যেকটি সিঙ্গল স্ক্রিন চেয়েছে। পাশাপাশি বেশিরভাগ প্রাইম টাইম শো নিয়ে মাল্টিপ্লেক্সগুলিতেও বেশি সংখ্যায় আসন দাবি করেছে এই প্রযোজনা সংস্থা।
এমতাবস্থায় প্রেক্ষাগৃহের মালিকদের দাবি, যেহেতু প্রথম সপ্তাহে স্পাইডার ম্যানের ব্যবসা প্রচুর হতে চলেছে, সেকথা মাথায় রেখে দ্বিতীয় সপ্তাহে একেবারেই শো কমিয়ে দেওয়া উচিত হবে না। তবে সিঙ্গল স্ক্রিন মালিকরা একেবারেই প্রযোজনা সংস্থার কথা মানতে নারাজ নয়। তাদের বক্তব্য, যে ছবির পাল্লা ভারী হবে তাদেরই শো দেবেন তারা।