বাংলা হান্ট ডেস্ক : বিগত কয়েকদিন ধরেই মিডিয়া লাইমলাইটে রয়েছেন সীমা-শচীন ও অঞ্জু-নাসরুল্লাহ প্রেম কাহিনী। একদিকে সীমা যেমন প্রেমের টানে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে ভারতে এসেছেন, তেমনই ভারত (India) থেকে পড়শি দেশে পাড়ি দিয়েছেন অঞ্জু। প্রেমের টান যে কাঁটা তারের বেড়া মানেনা সেকথা স্পষ্টই বুঝিয়ে দিয়েছে এই মানুষগুলি। আর এবার এই সীমান্ত পার প্রেম নিয়ে নয়া অধ্যায় লিখলেন আরবাজ (Arbaaz) ও আমিনা (Ameena)।
জানা যাচ্ছে, বিয়ে করার জন্য ভারতে আসার ভিসার আবেদন করেছিলেন আমিনা। যদিও সেই আবেদন মঞ্জুর হয়নি। তবে তাতেও থামেনি তার ইচ্ছা। এইদিন অনলাইনেই ভারতের পুত্রবধূ হয়ে গেলেন তিনি। জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে বসবাসরত আমিনা ও তার পরিবারের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে যোধপুরের আরবাজের পরিবারের।
যদিও শোনা যাচ্ছে এটাই প্রথম নয়, এর আগেও আরবাজের পরিবারের বেশকিছু ছেলের সাথে পাকিস্তানের মেয়ের বিয়ে হয়েছে। এই প্রসঙ্গে আরবাজের বাবা মহম্মদ আফজাল বলেন, ‘আমার এক চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট নাতি পাকিস্তানের একটি মেয়েকে বিয়ে করেছেন। তাদের খুশি দেখে আমিনার পরিবার আমাদের ছেলের হাত চেয়েছিল। আমরা বিয়ের সেই প্রস্তাব মেনে নিয়েছি।’
মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এইদিন আরবাজ বরযাত্রী সহ যোধপুরের ওসওয়াল সমাজ ভবনে যান এবং সেখানেই অনলাইনে বিয়ে করেন। অনলাইন বিয়ে প্রসঙ্গে আরবাজ বলেন, ‘আমিনা ভিসার জন্য আবেদন জানাবেন। আমি পাকিস্তানে বিয়ে করিনি কারণ সেটা এখানে স্বীকৃত হত না এবং আমাদের ভারতে পৌঁছে আবারও বিয়ে করতে হত। পাকিস্তানের কনে বিয়ের জন্য ভারতীয় ভিসা পায় না। তাই, আমরা অনলাইনে বিয়ে করেছি। ধর্মগুরুর কাছ থেকে সেই বিয়ের সার্টিফিকেট নিয়েছি। সেটা বৈধ।’
উল্লেখ্য, আরবাজের বাবা পেশায় ঠিকাদার। আরবাজ নিজে ডিটিপি অপারেটর। এদিকে সীমা হায়দর ও শচীনের গল্পও এখন মিডিয়া লাইমলাইটে। তারা নাকি নেপালে বিয়ে করেছেন। আর এখন তো খবর, সীমা পঞ্চম সন্তানের মা হতে চলেছেন। এদিকে সম্প্রতি ভারতীয় অঞ্জু পাড়ি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়ায়। সেখান থেকে তাদের একাধিক ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়।