বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত কয়েক সপ্তাহ ধরে বিনোদন তথা নেটমহল উত্তাল আরিয়ান খানকে (aryan khan) নিয়ে। মাদক কাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়ায় ১৪ দিনের জেল হেফাজত হয়েছে তাঁর। গত ৩ রা অক্টোবর একটি বিলাসবহুল ক্রুজ পার্টি থেকে NCB আটক করে তাঁকে। গতকাল তাঁকে ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
আরিয়ানের গ্রেফতার হওয়ার খবর পেয়েই বিদেশে কাজ ফেলে মুম্বই ছুটে এসেছিলেন শাহরুখ ঘনিষ্ঠ করন জোহর (karan johar)। আরিয়ানের জামিন না মঞ্জুর হতেই কিং খানের মন্নতে এসে উপস্থিত হন তিনি। বর্ষীয়ান আইনজীবী রুস্তম এন মোল্লাকে নিয়ে শাহরুখের সঙ্গে দেখা করতে যান পরিচালক প্রযোজক। আপাতত আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডেকে নিয়োগ করা হয়েছে আরিয়ানের জন্য। এর আগে সলমন খান, সঞ্জয় দত্ত এবং রিয়া চক্রবর্তীরও আইনজীবী ছিলেন তিনি।
দিন দুয়েক আগেই মুম্বই বিমানবন্দরে বন্ধু জনপ্রিয় ফ্যাশন ডিজাইনার মনীশ মালহোত্রার সঙ্গে পাপারাৎজির ক্যামেরাবন্দি হন করন। আরিয়ানের গ্রেফতারির খবর পেয়েই কাজ ফেলে মুম্বই চলে এসেছিলেন করন। কিন্তু কোনো প্রশ্নেরই উত্তর দেননি কেউ।
আরিয়ানকে নিজের ছেলের মতোই মনে করেন করন। তাঁকে জন্মাতে দেখেছেন তিনি। ছোট থেকে আরিয়ানকে কোলে পিঠে করে মানুষ করেছেন। শাহরুখ পুত্রের সমস্ত গোপন তথ্যও নাকি করনের কাছে গচ্ছিত রয়েছে। ছেলের এমন বিপদে আর বিদেশে মন টেকেনি করনের। শোনা যাচ্ছে, প্রথমে প্রতিনিয়ত ফোনে যোগাযোগ করেছেন খান পরিবারের সঙ্গে। শেষমেষ শাহরুখ ও আরিয়ানের পাশে দাঁড়াতে নিজেই ছুটে এসেছেন করন।
শুক্রবার ৮ অক্টোবর, মাদক কাণ্ডে আরিয়ান সহ আরো দুই ধৃত আরবাজ শেঠ মার্চেন্ট ও মুনমুন ধমেচার জামিন খারিজ করে দিলেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের প্রধান আরএম নেরলিকার। ৭ অক্টোবর আরিয়ানদের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের রায় দিয়েছিল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট।
এদিন NCB র তরফে অ্যাডিশনাল সলিসিটর জেনারেল অফ ইন্ডিয়া, অনিল সিং দাবি করেন অভিযুক্তদের জামিনের আবেদন অস্পষ্ট এবং গ্রহণযোগ্য নয়। সেটা আদালত বিচার করুন। আরিয়ানের হয়ে আদালতে সওয়াল জবাব করেন আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। তিনি পালটা দাবি করেন, NCB ক্রুজ পার্টিতে আরিয়ানকে মাদক সেবন করতে দেখেছে কিন্তু তাঁর কাছ থেকে কোনো মাদক উদ্ধার হয়নি। এমনকি যে হোয়াটস অ্যাপ চ্যাটের কথা NCB দাবি করছে সেটিও মাদক সংক্রান্ত নয়, ফুটবল সংক্রান্ত।