বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে পরিচালক প্রযোজক করন জোহর (karan johar) ও পরিচালক মহেশ ভাটের (mahesh bhatt) সদ্ভাবের কথা সকলেই জানেন। মহেশ কন্যা আলিয়া ভাটকে করনই লঞ্চ করেন নিজের ছবি ‘স্টুডেন্ট অফ দ্য ইয়ার’এ। শুধু তাই নয়, আলিয়াকে নিজের মেয়ের মতোই ভাবেন করন।
কিন্তু একটা সময় ছিল যখন মহেশ ভাটকে দুচক্ষে দেখতে পারতেন না করন। এমনকি তাঁকে অত্যন্ত জঘন্য, উদাসীন পরিচালক হিসাবেও কটাক্ষ করেছিলেন করন। মহেশের জন্যই তাঁর বাবা যশ জোহরকে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হয়েছিল বলেও অভিযোগ করেন করন।
সময়টা ১৯৯৮ সাল। সেই সময় মহেশ ভাট পরিচালিত একটি ছবি মুক্তি পেয়েছিল ‘ডুপ্লিকেট’ নামে। ছবিতে অভিনয় করেছিলেন শাহরুখ খান, জুহি চাওলা ও সোনালি বেন্দ্রে। যশ জোহরের ধর্মা প্রোডাকশন ছিল ছবির প্রযোজনার দায়িত্বে। এই ছবি নিয়েই এক সাক্ষাৎকারে নিজের ক্ষোভ উগরে দেন করন। তিনি জানান, ইচ্ছা করেই এই ছবির থেকে দূরে থেকে ছিলেন তিনি।
পরিচালক জানান, শুধু মাত্র শাহরুখের একার চেষ্টায় এই ছবির শুটিং শেষ হয় ও ছবিটি মুক্তি পায়। মহেশ ভাটকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “এই ভাবে একটা ছবি পরিচালনা করা যায় না। আমার বাবাকে সব দুর্ভোগ পোয়াতে হয়েছিল এটাই দুঃখের বিষয়। পরিচালকের কোনো আগ্রহই ছিল না ছবিটা নিয়ে।”
তিনি আরো জানান, তাঁর বাবা যশ জোহর মহেশ ভাটকে সব রকম স্বাধীনতাই দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো দায়িত্বই নেননি মহেশ। তাঁকে অত্যন্ত উদাসীন পরিচালক বলেও মন্তব্য করেন করন। শুধু মাত্র শাহরুখ খান পুরো বিষয়টা নিজে দায়িত্ব নিয়ে সম্পূর্ণ করেন বলে জানান করন।
ডুপ্লিকেটের মতো ছবিকে বলিউড ইন্ডাস্ট্রির ‘লজ্জা’ বলে কটাক্ষ করেন করন। তাঁর সাফ কথা, এমন একটা ছবির সঙ্গে যুক্ত হয়ে তিনি খুশি নন। তবে এসবই অতীতের কথা। বর্তমানে করন ও মহেশের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। আলিয়াকে নিজের তৃতীয় সন্তান বলেও অভিহিত করতে শোনা গিয়েছে পরিচালককে। পুরনো তিক্ততা ভুলে দুই পরিচালকই এখন ফের বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়েছেন।