বাংলাহান্ট ডেস্ক: করিনা কাপুর খান (Kareena Kapoor Khan) এমন একজন অভিনেত্রী যিনি এই ৪০-এও একই রকম জনপ্রিয় ইন্ডাস্ট্রিতে। বয়স বাড়লেও চাহিদা কমেনি বেবোর। ‘কভি খুশি কভি ঘম’ থেকে ‘লাল সিং চাড্ডা’ পর্যন্ত একটা লম্বা রাস্তা পেরিয়ে এসেছেন তিনি। বলিউডের হেন কোনো প্রথম সারির অভিনেতা নেই যাঁর সঙ্গে কাজ করেননি করিনা। তেমনি অধিকাংশ নামী পরিচালক প্রযোজকদের ছবিতেও অভিনয় করেছেন তিনি।
কিন্তু একজন পরিচালকের সঙ্গে তেমন বনিবনা হয়নি করিনার। তিনি সঞ্জয় লীলা বনশালি (Sanjay Leela Bansali), ইন্ডাস্ট্রির খ্যাতনামা পরিচালকদের মধ্যে অন্যতম। কিন্তু এত নামী অভিনেত্রী হয়েও বনশালির কোনো ছবিতে কাজ করার সৌভাগ্য হয়নি করিনার। বরং দুজনের মধ্যে একাধিক বিষয় নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি, মনোমালিন্য হওয়ায় সম্পর্কটা এক রকম বিষিয়ে গিয়েছে।
দুজনের বিবাদের সূত্রপাত অনেক বছর আগে। ‘দেবদাস’ ছবিতে ‘পার্বতী’ চরিত্রের জন্য করিনাকে বেছেছিলেন বনশালি। সে সময়ে করিনা সবে সবে পা রেখেছেন বলিউডে। স্বাভাবিক ভাবেই এত বড় ব্রেক পেয়ে খুশিই হয়েছিলেন তিনি। কিন্তু হঠাৎ করিনাকে না জানিয়েই তাঁকে বদলে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনকে নিয়ে নেন বনশালি।
ব্যাপারটা মোটেই ভাল ভাবে নেননি বেবো। এমনকি পরবর্তীকালে এক সাক্ষাৎকারে বনশালিকে ‘বিভ্রান্ত’ পরিচালক বলে দাবি করে তিনি বলেছিলেন, সঞ্জয় যদি রাজ কাপুর বা গুরু দত্তের মতো পরিচালক হয়ে ওঠেন তবুও তিনি তাঁর কোনো ছবিতে কাজ করবেন না। এই মন্তব্যের পর পর কিরণ খেরের মধ্যস্থতায় দুজনের মধ্যে সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল অবশ্য। সুর পালটে করিনা বলেছিলেন, দেবদাস থেকে তাঁকে বাদ দেওয়ায় কট হয়েছিল তাঁর। বনশালির কাছে তাঁর একটি ছবি ধার রয়েছে।
সেই ধার শোধ করতে চেয়েছিলেন বনশালি। ‘রামলীলা’ ছবিতে ‘লীলা’ চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিলেন করিনাকে। অভিনেত্রী প্রথমে রাজি হলেও পরে বেঁকে বসেন। সামনেই বিয়ে, তাই টানা ১০০ দিন শুট করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়, এমনটাই বলেছিলেন করিনা। বনশালি কার্যত মাথায় হাত দিয়ে বসেন। শেষমেষ তাঁকে উদ্ধার করতে হাজির হন দীপিকা পাডুকোন। সুপারহিট হয় ছবি।
পালটা করিনার বিরুদ্ধেও অপেশাদারিত্বের অভিযোগ এনেছিলেন বনশালি। বিয়ের কথা লুকিয়ছ প্রতিশোধ নিয়েছিলেন অভিনেত্রী, এমনো অভিযোগ উঠেছিল। সেই সম্পর্ক অবশ্য আর কোনোদিন ঠিক হয়নি। এখনো পর্যন্ত নিজের কোনো ছবিতে করিনাকে ডাকেন না বনশালি।