বাংলাহান্ট ডেস্ক: বরাবরই লাইমলাইটে থাকতে পছন্দ করেন করিনা কাপুর খান (kareena kapoor khan)। আর তার জন্য যা যা প্রয়োজনীয় তা করতে কসুর করেন না মোটেই। আপাতত অভিনেত্রীর লেখা বই ‘করিনা কাপুর খানস প্রেগনেন্সি বাইবেল’ নেটদুনিয়ার চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে। এই বইতেই নিজের ছোট ছেলে জেহ এর আসল নাম প্রকাশ করেছেন করিনা।
বইয়ের একেবারে শেষ পাতায় তিনি জানিয়েছেন ছোট ছেলের নাম জাহাঙ্গীর (jahangir) রাখা হয়েছে। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছে তুমুল সমালোচনা। মুঘল সম্রাটের নামে ছেলের নাম রাখায় চরম ট্রোল হয়েছেন সইফ করিনা। শেষেমেষ সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোলের বিষয়ে মুখ খুলেছেন অভিনেত্রী। তাঁর কথায়, “দেওয়ালে পিঠ ঠেকে গিয়েছে আমার। ধ্যান করে মন শান্ত করতে হবে। এই দুই নিষ্পাপ শিশুকে নিয়ে এসব কথা হচ্ছে। কিন্তু আমি ইতিবাচকই থাকব”।
বইতে করিনা ছোট ছেলের ব্যাপারে অনেক তথ্যই দিয়েছেন। এর আগে দাদু রণধীর কাপুর জানিয়েছিলেন তৈমুর ও জেহ কে নাকি একই রকম দেখতে হয়েছে। কিন্তু অভিনেত্রীর মতে, তাঁর দুই ছেলে দু রকম হয়েছে। তৈমুর ছোট থেকেই পাপারাৎজিকে দেখে লাইমলাইটের মধ্যে থেকে বড় হয়েছে। সে অনেক বেশি দুরন্ত, উচ্ছ্বল। কিন্তু এই ক মাসেই জেহ ওরফে জাহাঙ্গীর অনেকটাই শান্ত হয়ে গিয়েছে। করিনা আরো লিখেছেন তৈমুরকে বাবা সইফের মতো দেখতে হয়েছে। কিন্তু জাহাঙ্গীর একেবারে মায়ের মতো দেখতে হয়েছে।
এর আগে করিনা জানিয়েছিলেন তৈমুরের তুলনায় ছোট ছেলে জেহ এর জন্মের আগে বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন অভিনেত্রী। তৈমুর গর্ভে থাকাকালীন কোনো সমস্যাই হয়নি তাঁর। সেজন্যই দ্বিতীয় প্রেগনেন্সির কথা ভেবেছিলেন করিনা। কিন্তু জেহ এর সময়টা বেশ কঠিন ছিল তাঁর পক্ষে।
তবে করিনা জানান, তৈমুরের জন্মের পরপর তাকে মাতৃদুগ্ধ দিতে পারেননি তিনি। কারণ গর্ভে থাকাকালীন তৈমুর তেমন নড়াচড়া করেনি। তাই দ্রুত সিজার করানো হয়েছিল। এর জেরে শরীরে সমস্যা দেখা দিয়েছিল করিনার। বইতে তিনি লিখেছেন, তাঁর মা ববিতা এবং একজন স্বাস্থ্যকর্মী সর্বক্ষণই তাঁর পাশে থেকে চেষ্টা করতেন কীভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে মাতৃদুগ্ধ তৈরি করা যায়। কিন্তু ডেলিভারির পর দু সপ্তাহ পর্যন্ত কোনো লাভই হয়নি। তারপর থেকে অবশ্য সব স্বাভাবিক হয়ে যায়।