বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গোটা দেশ জুড়ে পালন করা হয়ে চলেছে দিওয়ালি (Diwali) উৎসব। দেশের প্রতিটি প্রান্ত আলোর রোশনাইয়ে ভরে গিয়েছে, মেতে উঠেছে প্রতিটি দেশবাসী। আর এর মাঝে এদিন ভারতীয় সেনা (Indian Army) জওয়ানদের সঙ্গে দিওয়ালি উৎসব পালন করতে কারগিলে (Kargil) পৌঁছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। শুধু তাই নয়, সেনা জওয়ানদের উদ্দেশ্যে মিষ্টি বিতরণ করার পাশাপাশি সকলের সঙ্গে এদিন বন্দেমাতরম গাইতেও শোনা যায় তাঁকে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে প্রধানমন্ত্রী পদে বসার পর থেকে প্রতিবছরই এই দিনটি ভারতীয় সেনাবাহিনীর সঙ্গে কাটাতেই পছন্দ করেন নরেন্দ্র মোদী। এ বছরেও হয়নি তার অন্যথা। অন্যান্য বছরে যেমন কাশ্মীর থেকে শুরু করে চীন সীমান্তে পৌঁছে যান তিনি, একইভাবে এ বছরেও কারগিলে পৌছে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে বন্দেমাতারাম গান গাইতেও দেখা যায় তাঁকে।
শুধু তাই নয়, সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগদানের মাধ্যমে একাধিক বিষয়ে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমাদের সেনাবাহিনী সন্ত্রাসবাদের কোমর ভেঙে চলেছে। সন্ত্রাস যে অন্ধকার ছড়িয়ে দিয়েছিল, তার মাঝে আলো জড়ানোর উৎসব হলো দিওয়ালি। কারগিল সেই উৎসবকে সফলতার পথে নিয়ে গিয়েছে। সেনাবাহিনী রয়েছে বলে দেশবাসীরা শান্তিতে থাকতে পারেন। ঘুমোতে পারেন।”
একইসঙ্গে আত্মনির্ভর ভারতের প্রসঙ্গ টেনে এনে মোদী বলেন, “তিনটি বাহিনীকেই আমি আমার সাধুবাদ জানাচ্ছি। দেশের মাটিতে অস্ত্র বানানোর সিদ্ধান্ত অভূতপূর্ব। এর ফলে শত্রু আমাদের অস্ত্র সম্পর্কে কোন কিছুই জানতে পারবে না, ফলে তাদেরকে হারানো হবে অনেক সহজ। সেনাবাহিনীতে যদি মেয়েরা যোগদান করে, তাহলে অনেক উন্নতি হবে আমাদের।”
এদিন সেনাবাহিনীর সঙ্গে সৌজন্য বিনিময় করার পাশাপাশি দুর্নীতির বিষয়ে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “যেভাবে আপনারা (সেনাবাহিনী) দেশকে সুরক্ষা প্রদান করে চলেছেন, তেমনি আমরা দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করছি। গোটা দেশে সন্ত্রাসবাদ, হিংসা ও দুর্নীতির ঘটনা ছড়িয়ে পড়লেও বর্তমানে তা অনেকাংশে দূর করা গিয়েছে।”
উল্লেখ্য, গতকাল অযোধ্যায় অস্থায়ী রাম মন্দিরে যাওয়ার পাশাপাশি মাটির প্রদীপ জ্বালানোর পাশাপাশি আরতি করেন নরেন্দ্র মোদী। একই সঙ্গে অযোধ্যায় একটি অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পর থেকে প্রতিবারই দিওয়ালির দিনটি বীর জওয়ানদের সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করেন মোদী। এ বছরেও একইভাবে কারগিলে সময় কাটাতে ব্যস্ত প্রধানমন্ত্রী।