বাংলাহান্ট ডেস্ক : ভারতীয়দের মধ্যে অনেকেরই ভালো নামের সঙ্গে একটা খারাপ নাম, থুড়ি ডাক নাম থাকে। তারকারাও ব্যতিক্রম নন। বলিউডের একাধিক অভিনেতা অভিনেত্রী বেশ জনপ্রিয় তাঁদের ডাক নামের দৌলতে। তবে এক্ষেত্রে হয়তো সবথেকে এগিয়ে থাকবে কাপুর পরিবার। বিশেষ করে করিশ্মা কাপুর (Karishma Kapoor) এবং করিনা কাপুর, দুই বোনের ডাক নাম নিঃসন্দেহে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে।
করিশ্মা (Karishma Kapoor) করিনার ডাক নাম এল কীভাবে
লোলো এবং বেবো, দুই বোনকে এই নামেই চেনে বিটাউন। কিন্তু হঠাৎ এমন ডাক নাম কেন রাখা হল তাঁদের, সেকথা কেউ কখনো ভেবেছেন? সম্প্রতি ইন্ডিয়ান আইডলের সেটে এই ডাকনাম রহস্য ফাঁস করলেন করিশ্মা (Karishma Kapoor)। সম্প্রতি ইন্ডিয়ান আইডলের মঞ্চে উদযাপিত হয় রাজ কাপুরের ১০০ তম জন্মবার্ষিকী। সেই উপলক্ষেই এই শোতে অতিথি হয়ে এসেছিলেন অভিনেত্রী।
নিজের নামের রহস্য জানান করিশ্মা: শোতে এক প্রতিযোগীর মা তাঁকে প্রশ্ন করেন, তাঁর এই ‘লোলো’ ডাকনামটা এল কীভাবে? উত্তরে করিশ্মা (Karishma Kapoor) বলেন, একজন বিদেশি অভিনেত্রী রয়েছেন, জিনা লোলোব্রিজিয়া। সেখান থেকে আসে লোলো। উপরন্তু তাঁদের মা সিন্ধি পরিবারের মেয়ে। তাঁদের একটি বিশেষ খাবার রয়েছে। এক ধরণের রুটি, যার নাম ‘মিঠি লোলি’, আবার একে লোলো-ও বলা হয়। সেখান থেকেও আসে লোলো। শেষে করিশ্মার বাবা রণধীর কাপুর দুটো মিলিয়েই তাঁর নাম রেখে দেন লোলো।
আরো পড়ুন : একই দিনে মুক্তি চার চারটি বাংলা ছবির! ডিসেম্বরে হল কাঁপাবেন দেব-শুভশ্রী-মিঠুনরা
কীভাবে ঠিক হয় করিনার ডাক নাম: আর করিনার বেবো? তাঁর নামটিও অত্যন্ত জনপ্রিয়। করিশ্মা (Karishma Kapoor) জানান, করিনার জন্ম হওয়ার পর তাঁদের পরিবারের সকলের মতো তাঁরও একটি মিষ্টি, মজার ডাকনাম রাখার কথা ভাবছিলেন সকলে। শেষে রণধীর ডাব্বু, চিন্টু, চিম্পু, লোলোর পর করিনার ডাক নাম রাখেন বেবো।
আরো পড়ুন : দেশ জুড়ে ‘পুষ্পা ২’ ঝড়, ১১ দিনেই ১৩০০ কোটি তুলে রেকর্ড! কিন্তু এই রাজ্যে ডাহা ফ্লপ আল্লু ম্যাজিক
কাপুর পরিবারের অভিনয়ের ট্র্যাডিশনকে বজায় রেখে দুই বোনই চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছেন ইন্ডাস্ট্রিতে। পরিবারের পুরুষ অভিনেতাদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করেছেন তাঁরা। এদিন শোতে আরো এক অজানা তথ্য ফাঁস করেন করিশ্মা (Karishma Kapoor)। রাজ কাপুরের সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘জাতীয় টেলিভিশনে আজ পর্যন্ত একথা কারোর জানা নেই। ঠাকুরদারও একটা ডাক নাম ছিল। তাঁকে রাজি বলে ডাকা হত। কারণ সবাই বলতেন, তাঁকে রাজকুমারের মতো দেখতে ছিল, ফর্সা, নীল চোখের’। উল্লেখ্য, গত ১৪ ডিসেম্বর উদযাপিত হয়েছে রাজ কাপুরের ১০০ তম জন্মবার্ষিকী।