বাংলা হান্ট ডেস্ক : গত ১লা ফেব্রুয়ারি অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দেশের নয়া বাজেট পেশ করতেই শুরু হয়েছে তোলপাড়। ফের একবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে ‘উত্তর বনাম দক্ষিণ’ বিতর্ক। অবসর বুঝে এই বিতর্কে নতুন করে ঘি ঢেলেছেন সুরেশ। যিনি সম্পর্কে কর্ণাটকের কংগ্রেস সাংসদ তথা উপমুখ্যমন্ত্রীর ভাই। সোজাসাপ্টা আক্রমণ করে বসলেন কেন্দ্রকে।
এইদিন নয়া বাজেট সামনে আসার পরেই সুরেশ বলেন, ‘দক্ষিণ ভারতকে বঞ্চিত করছে কেন্দ্রীয় সরকার। উন্নয়নমূলক যে বরাদ্দ আমাদের পাওনা, তা দেওয়া হচ্ছে না। সেই টাকা উত্তর ভারতকে মাখন লাগাতে খরচ করা হচ্ছে। এই সমস্যা যদি না মেটানো হয়, তাহলে তো দক্ষিণ ভারতকে আলাদা দেশে পরিণত হতে হয়।’
সুরেশের এই বক্তব্যের পর রীতিমত সমালোচনার ঝড় শুরু হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। যদিও বিতর্ক জোরালো হতেই আত্মপক্ষ সমর্থনে সাফাইও গেয়েছেন তিনি। ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তিনি লেখেন, ‘আমি একজন গর্বিত ভারতীয় এবং কন্নড়। এর আগে দক্ষিণ ভারত এবং বিশেষ করে কর্ণাটক অর্থ বরাদ্দের ক্ষেত্রে বঞ্চনার শিকার হয়েছে বারবার।’
আরও পড়ুন : মাসিক বেতন ১.৩৭ লাখ! ভারতীয়দের চাকরির বিরাট সুযোগ দিচ্ছে ইজরায়েল, আপনি কীভাবে পাবেন?
সুরেশের সংযোজন, ‘দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ জিএসটি এই রাজ্য থেকে সংগ্রহ করা হয়। তবে কর্ণাটক সহ দক্ষিণ ভারতের প্রতি অবিচার করে কেন্দ্রীয় সরকার। গুজরাটের জন্য যেখানে বাজেটে বরাদ্দ ৫১ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে আমরা বঞ্চনার শিকার। এটা অবিচার না হলে আর কি?’ একই সাথে তিনিও এটাও বলেছেন যে, তার মূল বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা করা হচ্ছে। তিনি কেবল কেন্দ্রের দ্বিচারিতাকে তুলে ধরতে চেয়েছেন।
আরও পড়ুন : ভোটের আগে বিপুল কর্মসংস্থান, চাকরি নিয়ে বড় ঘোষণা মমতার! হাসি ফুটবে বেকার চাকরিপ্রার্থীদের মুখে
সুরেশের কথায়, সরকারের দুর্নীতিপ্রবণ আচরণের বিরোধীতা করার অধিকার প্রত্যেকেরই আছে। এবং দক্ষিণ ভারতের প্রতি অবিচার করছে ভারত সরকার। একই সাথে তিনি আরও বলেন, দক্ষিণ ভারতকে আলাদা করার দাবি কেবল তার একার নয়। সাধারণ মানুষের মধ্যে থেকেই এই দাবি উঠছে। যদিও বিজেপি এই অভিযোগ মানতে নারাজ। শাসকদলের কথায়, ‘কংগ্রেস ভারত জোড়ো নয় ভারত তোড়োর দিকে নজর দিয়েছে। কংগ্রেসের মানসিকতাই হল ভারতকে ভাগ করা।’