বাংলা হান্ট ডেস্কঃ গত দু’বছর ধরে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে উত্তাল বাংলা। শিক্ষাক্ষেত্রে কেলেঙ্কারির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সহ শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বহু নেতা বিধায়ক। ওদিকে গত বছর রেশন দুর্নীতির দায়ে গ্রেফতার হয়েছেন প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্ৰিয় মল্লিক। যা নিয়ে রীতিমতো তোলপাড় এই রাজ্যে। এই আবহেই এবার বাংলার পর কর্ণাটকেও দুর্নীতি ইস্যুতে তোলপাড়। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister) এবং বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা সিদ্দারামাইয়ার (Siddaramaiah) বিরুদ্ধে জমি দুর্নীতির অভিযোগে দায়ের হল মামলা।
মুখ্যমন্ত্রীর (Chief Minister) বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ রাজ্যপালের
সূত্রের খবর, সে রাজ্যের রাজ্যপাল (Karnataka Governor) থাওয়ারচাঁদ গেহলটের অনুমোদনেই এই মামলা দায়ের হয়েছে। আজই এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টে যেতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। জানিয়ে রাখি, সবার প্রথমে তিন সমাজকর্মী এই জমি দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আনেন। তারপরেই রাজ্যপালের অনুমোদন নিয়ে দায়ের হল মামলা।
জানা যাচ্ছে, প্রথমে প্রদীপ কুমার, টিজে আব্রাহাম, স্নেহময়ী কৃষ্ণা নামে তিন সমাজকর্মী মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারাইয়ার বিরুদ্ধে এই জমি কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রকাশ্যে আনেন। অভিযোগ ছিল, ‘মাইসুরু নগরোন্নয়ন বিভাগের (মুডা) জমি বেআইনি ভাবে বিলি করা হয়েছে। সেই দুর্নীতিতে জড়িত রয়েছেন জেলাশাসক, মুখ্যমন্ত্রীর স্ত্রী এবং শ্যালক সহ ভূমি দফতরের একাধিক আধিকারিক।
এই অভিযোগের সঠিক নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে কর্নাটকের রাজ্যপাল, মুখ্যসচিব এবং রাজস্ব বিভাগের প্রিন্সিপাল সচিবকে চিঠি লিখেছিলেন ওই সমাজকর্মীরা। সেই অভিযোগের প্রেক্ষাতেই এবার মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়া শুরুর অনুমতি দিলেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন: আর ১৫ দিনও সময় নয়…! নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডে বিরাট নির্দেশ হাইকোর্টের, চাপে পর্ষদ
এদিকে এই গোটা বিষয় নিয়ে কর্নাটকের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর বলেন, ‘‘তড়িঘড়ি এভাবে নির্দেশ দেওয়ায় এটা স্পষ্ট হয়, রাজ্যপালের উপর কেন্দ্রের চাপ ছিল। মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কোনো প্রশ্নই নেই। আমরা সকলে ওনার সাথে আছি।’’