বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটক সংখ্যালঘু কল্যাণ বিভাগ পরবর্তী আদেশ জারি না হওয়া পর্যন্ত স্কুল পড়ুয়াদের গেরুয়া শাল, স্কার্ফ, হিজাব বা ধর্মীয় পতাকা এবং এরকমই কিছু ক্লাসরুমের ভিতরে পরতে নিষেধ করেছে। পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে বলেছে অধিদপ্তর। অন্যদিকে, হিজাব নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে লড়াইরত মুসলিম পড়ুয়ারা বৃহস্পতিবার কর্ণাটক হাইকোর্টে আবেদন করেছে যাতে তারা অন্তত শুক্রবার এবং রমজান মাসে হিজাব পরে ক্লাসে অংশ নিতে পারে।
মুসলিম ছাত্রীরা দাবি করেছে, হিজাব নিষিদ্ধ করা পবিত্র কোরআনকে নিষিদ্ধ করার সমতুল্য। হাইকোর্ট তার অন্তর্বর্তী আদেশে গত সপ্তাহে হিজাব বিতর্ক সম্পর্কিত সমস্ত পিটিশনের বিবেচনা মুলতুবি রেখে ক্লাসরুমের অভ্যন্তরে সমস্ত পড়ুয়াদের গেরুয়া শাল, স্কার্ফ, হিজাব এবং কোনও ধর্মীয় পতাকা বহন করতে নিষেধ করেছিল।
বিচারপতি ঋতুরাজ অবস্থি, বিচারপতি জে. এম কাজী এবং বিচারপতি কৃষ্ণ এস. দীক্ষিতের বেঞ্চের সামনে মুসলিম পড়ুয়াদের অ্যাডভোকেট বিনোদ কুলকার্নি বলেছেন, “হিজাব পরার নিষেধাজ্ঞার কারণে দরিদ্র মুসলিম মেয়েরা কষ্ট পাচ্ছে৷ আমি শুক্রবার (জুম্মার দিন) এবং পবিত্র রমজান মাসে মেয়েদের হিজাব পরার অনুমতি দিতে একটি আদেশ পাস করানোর জন্য আদালতকে অনুরোধ করছি।
কুলকার্নি যুক্তি দিয়েছিলেন যে, হিজাব ইস্যুতে দেশে একটি “উন্মাদনা” রয়েছে। তিনি বলেছিলেন যে, হিজাব “স্বাস্থ্য বা নৈতিকতার বিরুদ্ধে নয়।” তার মতে, হিজাব নিষিদ্ধ করা পবিত্র কোরআনকে নিষিদ্ধ করার সমান। উল্লেখ্য, উডুপির একটি কলেজের ছয়জন ছাত্রী ১লা জানুয়ারী ‘ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’ (সিএফআই) দ্বারা আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছিল, সেখানে কলেজ কর্তৃপক্ষ দ্বারা তাদের হিজাব পরিধান করে ক্লাসে পরিবেশে নিষেধ করার বিরোধিতা করা হয়েছিল।