বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কর্ণাটকের হিজাব বিতর্ক দেশের রাজনীতিতে যে ভয়ঙ্কর প্রভাব ফেলেছে তা বলা বাহুল্য। সম্প্রতি, এই বিতর্ক নিয়ে কর্ণাটক হাইকোর্ট যে রায় দেয় এবার সেই রায় জনিত একটি ব্যাপারে বিতর্ক আরো বৃদ্ধি পেলো।
কিছুদিন পূর্বে, কর্ণাটক হাইকোর্টে এই মামলাটি ওঠে এবং সেখানকার বিচারপতিরা মামলাটি শোনার পর নিজেদের রায় জানান এবং বর্তমানে সেই কারণেই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল। সেই অভিযোগ থানায় দায়ের করে আইনজীবী দাবি করেছেন, তামিলনাড়ুর মাদুরাই জেলায় একটি জনসভায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি বিচারপতিকে খুনের হুমকি দিয়েছেন। এবং এই নিয়েই শুরু হলো এক নতুন বিতর্ক।
প্রসঙ্গত, কর্নাটকের একটি কলেজে কিছু ছাত্রীরা হিজাব পড়ে কলেজে ঢোকার চেষ্টা করে এবং সেই সময় কলেজ কর্তৃপক্ষ এবং সেখানকার সভাপতি বিজেপির বিধায়ক স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে তারা কোনো ধর্মীয় পোশাক পরে কলেজের ভেতর ঢুকতে পারবে না। এবং এই নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। ছাত্রীরা হিজাব ছাড়া কলেজে ঢুকতে প্রস্তুত হয়না এবং এই নিয়ে রাজ্য হতে গোটা দেশজুড়ে বিতর্ক দানা বাঁধে। বিজেপি থেকে বিভিন্ন বিরোধী দলের মধ্যে বাকযুদ্ধ যুদ্ধ শুরু হয়। এরপর জল গড়ায় হাইকোর্টে। এবং হাইকোর্টের বিচারপতিরা এই মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে শুনানি চালান এবং এরপর হাইকোর্টের তরফ থেকে জানানো হয়, কলেজে ধর্মীয় পোশাক পরা বাঞ্ছনীয় নয়। ফলে এক্ষেত্রে সেই সকল ছাত্রীদের পরাজয় হয় বলেই বিশেষজ্ঞদের মত।
এরপর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে দেখা যায়, এক ব্যক্তি একটি প্রকাশ্য জনসভায় সেই রায় দানকারী হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতিকে খুনের কথা বলছেন। প্রসঙ্গত, কিছুদিন পূর্বে এক দুষ্কৃতী ঝাড়খণ্ডের বিচারপতিকে খুনের হুমকি দেন এবং অস্বাভাবিকভাবে সেই বিচারপতির একটি দুর্ঘটনায় মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে। এবং বর্তমানে সেই ব্যক্তিটির দেওয়া হুমকি যে হিজাব বিতর্কে রায়দানের ফলেই করা তা অনস্বীকার্য।
এই ভিডিওটি নিজের মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে পান অভিযোগকারী আইনজীবী উমাপতি এস। তার পরিচিত এক ব্যক্তি তাকে এই ভিডিওটি সেন্ড করলে তিনি প্রথমে তা দেখে অবাক হন এবং কোনো ঝুঁকি না নিয়ে শীঘ্র ঘটনাটি থানায় গিয়ে জানান। ফলে হিজাব বিতর্ক এর রেশ যে এখনো শেষ হয়নি তা বলা যায়।