বাংলা হান্ট ডেস্ক : কেন্দ্রীয় হারে ডিএ-র (Dearness Allowance) দাবিতে বহুদিন ধরেই আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীরা। যদিও রাজ্য তাদের সেই দাবি মানতে নারাজ। গত বছরের বড়দিনে একদফায় ৪ শতাংশ ডিএ বৃদ্ধি করলেও তাতে মোটেও খুশি নন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা (State Employees)। যে কারণে ‘ডিএ আন্দোলন আজও অব্যাহত’।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের মহার্ঘ্য ভাতা বাড়ানোর কথা ঘোষণা করেছে কেন্দ্র সরকার (Central Government)। যার জেরে কেন্দ্রের অধীনে কর্মরত চাকরিজীবীরা এখন ৫০ শতাংশ ডিএ পেতে চলেছেন। এই একই হারে ডিএ দিতে হবে বলে দাবি করে আসছে দেশের প্রতিটি রাজ্যের কর্মীরা। আর এবার সেই দাবি মেনে একলাফে কেন্দ্রের অনেকটাই কাছে পৌঁছে গেলেন এই রাজ্যের সরকারি কর্মীরা।
সূত্রের খবর, ভোটের মুখে এই রাজ্যের সরকারি কর্মীদের ডিএ বেড়ে হয়েছে ৪২.৫ শতাংশ। রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করার পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী নিজেও বিষয়টি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া হ্যান্ডেল থেকে পোস্ট করেন। যেখানে ইউজিসি-র পে স্কেলের আওতায় থাকা কর্মচারীদের ডিএ বেড়ে হয়েছে ৫০ শতাংশ। যা কেন্দ্রীয় সরকারের অধীনে কর্মরত কর্মচারীদের ডিএ-র সমান।
আরও পড়ুন : নিজ্জর কাণ্ডে মুখ পুড়ল ট্রুডোর! কানাডার বক্তব্যকে মানতে নারাজ তাঁদেরই বন্ধুরাষ্ট্র
ভোটের মুখে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়ার এই সিদ্ধান্তকে মাস্টারস্ট্রোক বলেই মনে করছে রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। হালফিলের সময়ে দেশজুড়ে যেরকম গেরুয়া তাণ্ডব শুরু হয়েছে তাতে ভোট ব্যাঙ্ক ধরে রাখা যে বেশ কঠিন সেকথা বলাই বাহুল্য। বিশেষ করে, দক্ষিণ বিজয়ের জন্য বিজেপি যে সব স্ট্র্যাটেজি প্ল্যান করছে তার বিরুদ্ধে মোকাবেলা করতে এমন একটা সিদ্ধান্ত নিতেই হত।
আরও পড়ুন : বিধ্বংসী আগুনে ছাই ধূপ কারখানা, আগুন নেভাতে ব্যর্থ দমকলের ৬টি ইঞ্জিন, শেষ পুকুরের জলও
সূত্রের খবর, এই মহার্ঘ্য ভাতা বাবদ প্রায় ১৭২৯.৭২ কোটি টাকা অতিরিক্ত ব্যয় করবে কর্ণাটক সরকার। ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে এই বর্ধিত ডিএ। অর্থাৎ বিগত দুই মাসের বকেয়াও পাবেন কর্ণাটক রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা।