বাংলাহান্ট ডেস্ক: আবারো এক বলিউড ছবি পড়ল কর্ণি সেনার (karni sena) রোষের মুখে। অক্ষয় কুমার ও মনুষী ছিল্লর অভিনীত আসন্ন এই ছবির মুক্তি রোখার জন্য আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে কর্ণি সেনা। পৃথ্বীরাজের (prithviraj) মুক্তি যাতে রুখে দেওয়া হয়, সেই আর্জি জানিয়ে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছে তারা।
কর্ণি সেনার সমস্যাটা ঠিক কী? ‘পৃথ্বীরাজ’ ছবির নাম নিয়ে আপত্তি প্রকাশ করেছে তারা। কর্ণি সেনার দাবি, ছবিতে ইতিহাসকে ভুল ভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে। সম্রাট পৃথ্বীরাজের চরিত্রটিকে অশ্লীল ভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ কর্ণি সেনার। এতে হিন্দুদের ধর্মাবেগে আঘাত হানা হয়েছে। কর্ণি সেনার তরফে সহ সভাপতি সঙ্গীতা সিং দায়ের করেছেন জনস্বার্থ মামলা।
এই মামলায় কেন্দ্রীয় সরকারকে এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চ প্রশ্ন করেছে, সেন্সর বোর্ড কি ছবিটিকে মুক্তির ছাড়পত্র দিয়েছে। আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি জনস্বার্থ মামলার শুনানির তারিখ ধার্য হয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগেও কর্ণি সেনার তরফে ছবিটিকে শাসানি দেওয়া হয়েছিল, পৃথ্বীরাজ ছবির নাম না বদলালে ‘পদ্মাবত’ এর মতো অবস্থা হবে। সেবার যুব সভাপতি সুরজিৎ সিং রাঠোর সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, ছবির পুরো কাহিনিই ‘মহান’ পৃথ্বীরাজ চৌহানের জীবনের উপর ভিত্তি করে লেখা, তাহলে ছবির নাম শুধু পৃথ্বীরাজ কেন রাখা হল?
এ তাঁকে এক রকম অসম্মান করা বলেই মত ছিল কর্ণি সেনার যুব সভাপতির। তিনি আরো শাসিয়েছিলেন, যদি ছবির নাম পরিবর্তন না করা হয় তবে পদ্মাবত ছবির সঙ্গে যা করা হয়েছিল এই ছবির সঙ্গেও তাই হবে। তবে সেবার এই শাসানি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি ছবি নির্মাতারা। ফলতঃ বিক্ষোভটা আইনি দিকে টেনে নিয়ে গেল কর্ণি সেনা।
প্রসঙ্গত, কবি চাঁদ বরদাইয়ের গ্রন্থ পৃথ্বীরাজ রাসো থেকে অনুপ্রাণিত হয়েই এই ছবি তৈরি বলে জানান পরিচালক চন্দ্রপ্রকাশ দ্বিবেদী। এই ছবির হাত ধরেই বলিউডে পা রাখছেন প্রাক্তন বিশ্ব সুন্দরী মনুষী ছিল্লর।
এর আগে কর্ণি সেনার বিক্ষোভের মুখে পড়েছিল বনশালির ছবি পদ্মাবত। প্রথমে রানী পদ্মাবতীর নামেই ছবির নাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু তাতে বেঁকে বসে কর্ণি সেনা। রাজস্থানে ছবির শুটিং চলাকালীন সেটে হাজির হয়ে তাণ্ডব চালায় তারা।
এমনকি তাদের হাতে হেনস্থা হন পরিচালক বনশালিও। তাঁকে ও দীপিকা পাডুকোনকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। গোটা দেশে সেই সময় বিক্ষোভের আগুন জ্বলেছিল। বাধ্য হয়ে ছবির নাম পরিবর্তন করলেও থামেনি বিক্ষোভ।