বাংলাহান্ট ডেস্ক: বলিউডে নেপোটিজমের জয়জয়কার সত্ত্বেও এমন বহু অভিনেতা অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা কোনো গডফাদার ছাড়াই ইন্ডাস্ট্রিতে পা রেখেছেন এবং নিজের যোগ্যতায় খ্যাতির শীর্ষেও উঠেছেন। এই তথাকথিত বহিরাগত অভিনেতাদের মধ্যে একজন কার্তিক আরিয়ান (kartik aaryan)। ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’র ‘চকলেট বয়’ তকমা থেকে শুরু করে আজ নিজের জোরে বলিউডের একজন সুপ্রতিষ্ঠিত অভিনেতা তিনি।
ছবিতে অভিনয়ের আগে বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন তিনি। তবে পেয়ার কা পঞ্চনামায় সাবলীল অভিনয় এবং বাধাহীন ভাবে লম্বা সংলাপ বলার জন্য দ্রুত সকলের নজর কেড়ে নিয়েছিলেন কার্তিক। আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁকে। দিব্যি চলছিল কেরিয়ার, হঠাৎ করেই খবরে উঠে আসতে থাকে একের পর এক ছবি থেকে বাদ পড়ছেন কার্তিক।
শুরুটা হয়েছিল ‘দোস্তানা টু’ ছবি থেকে। প্রযোজক করন জোহরের (karan johar) সঙ্গে মনোমালিন্যের জেরে ছবি থেকে বেরিয়ে যেতে হয়েছিল কার্তিককে, মুম্বইয়ের কয়েকটি সংবাদ মাধ্যম সূত্রে মিলেছিল এমনি খবর। দাবি করা হয়েছিল, চিত্রনাট্য নিয়ে দুজনের মধ্যে মতানৈক্য হওয়াতেই ছবি ‘ছেড়ে’ দেন কার্তিক। কিন্তু এ বিষয়ে না তিনি মুখ খুলেছেন আর না কিছু বলেছেন করন।
অবশেষে এতদিন চুপ করে থাকার পর এই বিষয়ে মুখ খোলার সিদ্ধান্ত নিলেন কার্তিক। দোস্তানা টু থেকে তাঁর বাদ পড়ার খবরে উত্তাল হয়েছিল সংবাদ মাধ্যম। কার্তিকের বাদ পড়ার নেপথ্যে সম্ভাব্য কারণ নিয়ে বিস্তর কাটাছেঁড়া চলেছিল। অভিনেতাকে নিয়ে নানান খবরও রটেছিল। এর ফলে তাঁর পরিবারের উপরে কী প্রভাব পড়েছিল সে বিষয়ে সম্প্রতি মুখ খোলেন কার্তিক।
এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে জিজ্ঞাসা করা হয়, নিজের সম্পর্কে নেতিবাচক আলোচনা শুনে কেমন লাগে তাঁর। কার্তিক উত্তরে বলেন, “অনেক সময়ে নিজেকে জিজ্ঞাসা করি, এসব কেন হচ্ছে? তবে নিজের থেকেও বেশি আমার পরিবারকে নিয়ে আমি চিন্তিত। কারণ ওরা এই জগতের নয়। আমি এই ইন্ডাস্ট্রির মানুষ, তাই আমি জানি যতক্ষণ নিজের কাজের প্রতি মনোযোগ রাখা যায় ততক্ষণ অন্য কিচ্ছুতে যায় আসে না। কিন্তু আমার পরিবারের উপরে এর প্রভাব পড়ে আর সেটা নিয়েই আমার চিন্তা। আমি জানি আমার কাজই আমার হয়ে কথা বলবে। যদি সেদিকে আমি দুর্বল হয়ে পড়ি তাহলে নিজের উপরে মনোযোগ দিতে হবে।”
কার্তিক আরো বলেন, অতীতে যখন তাঁর অর্থের প্রয়োজন ছিল তখন শুধুমাত্র টাকার জন্যও অনেক কাজ তিনি করেছেন। কিন্তু যাই করেছেন নিজের সবটা দিয়ে করেছেন। কিন্তু কিছু কিছু সময় এমনো এসেছে যখন তাঁর মনে হয়েছে সুযোগ পেলে হয়তো অন্য কিছু চেষ্টা করতে পারতেন।
অভিনেতার কথায়, “কথাটা নৈতিকতার নয়, কথাটা পরিস্থিতির। ভবিষ্যতের কথা মাথাম রেখে সিদ্ধান্ত নিতে হয়। এখন ভাগ্যক্রমে আমি এমন একটা জায়গায় আছি যেখানে দাঁড়িয়ে আমি বাছতে পারি। আর এই বাছাবাছির ব্যাপারে আমি খুব সতর্ক।” প্রসঙ্গত, আগামীতে ‘ধামাকা’ ছবিতে দেখা যাবে কার্তিককে। ১৯ নভেম্বর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে ছবিটি। এছাড়া ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ তেও রয়েছেন কার্তিক।