বাংলাহান্ট ডেস্ক: গত দু বছরে বদলে গিয়েছে গোটা বিশ্ব, বদলেছে অনেক কিছুই। বিশেষত বিনোদন জগতে যেন একটা পরিবর্তনের ঝড় উঠেছে। দেশের সবথেকে বড় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি বলিউড (Bollywood) কার্যত ডুবতে বসেছে। চলতি বছরে এখনো পর্যন্ত মাত্র দুটো ছবি ব্লকবাস্টার হিট হয়েছে। তার মধ্যে একটি ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’, দ্বিতীয়টি ‘ভুলভুলাইয়া ২’। একদিকে যখন তাবড় সুপারস্টাররা ক্ষতির অঙ্ক গুনছেন, অন্যদিকে কার্তিক আরিয়ান (Kartik Aaryan) তখন সাফল্যের জোয়ারে ভাসছেন।
এই দু বছরে বলিউডের অলিখিত নিয়মও বদলে গিয়েছে। তারকা সন্তান এবং বহিরাগতর মধ্যে এখন আর কোনো ফারাকই নেই। যার ছবি ভাল দর্শক তাকেই প্রাধান্য দিচ্ছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও চিন্তা পিছু ছাড়ছে না কার্তিকের। নিজের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করতে চাইছেন তিনি।
বলিউডে তথাকথিত বহিরাগত কার্তিক। বিজ্ঞাপনে অভিনয় করতে করতে বড়পর্দায় সুযোগ পান তিনি। কার্তিকের কথায়, এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাঁর কোনো সুরক্ষিত আশ্রয় নেই। তাই এখানে টিকে থাকতে হলে নিজেকেই পরিশ্রম করে যেতে হবে। ফ্লপের ধাক্কা সামলাতে পারবেন না তিনি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কার্তিক বলেন, “এই ইন্ডাস্ট্রিতে আমাকে সমর্থন করার মতো কেউ নেই। আমি জানিনা একজন তারকা সন্তানের কেমন অনুভূতি। কিন্তু একজন বহিরাগত হওয়ার দৌলতে আমার কোথাও না কোথাও মনে হয় যে একটি ছবি ফ্লপ হলে ধারণা তৈরি হতে পারে যে তা আমার কেরিয়ার ধ্বংস করে দেবে। আর তখন আমার জন্য এমন কেউ থাকবে না যে আমার জন্য সেই মাপের কোনো প্রোজেক্ট বানাবে।”
কার্তিক বলেন, একজন বহিরাগত হিসাবে একটি ছবি ফ্লপ করা যথেষ্ট ঝুঁকির ব্যাপার। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়া ছেড়ে অভিনয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে এসেছিলেন কার্তিক। ‘পেয়ার কা পঞ্চনামা’ দিয়ে বলিউডে পা রাখেন তিনি। তারপর থেকে একের পর এক ছবিতে অভিনয় করে গিয়েছেন কার্তিক। ভবিষ্যতে একটি প্রাইভেট জেট কেনার ইচ্ছা রয়েছে তাঁর।