জগদ্ধাত্রী পুজোর পর কার্তিক পুজো, মায়েরা পুজো দিন এই বিশেষ ফুল দিয়ে, আপনার সন্তান হবে দীর্ঘায়ু!

বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। বছরের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত হেন কোনো উৎসব নেই বলে কথা নেই। ফলে বাঙালিদের খুশির
অবকাশ নেই। বিশেষ করে আশ্বিন থেকে কার্তিক মাসটা যেন উৎসবে ভরপুর। দুর্গাপুজো দিয়ে শুরু হয়। এরপর লক্ষ্মী পূজা, কালীপুজো, ভাইফোঁটা চলতেই থাকে। আর এবার আসছে কার্তিক পুজো (Kartik Puja)। কার্তিক পুজো (Kartik Puja) মানেই সন্তানদের মঙ্গল কামনায় ব্রত করবেন সকল হিন্দু মায়েরা।

কার্তিক পুজো (Kartik Puja) করুন এই বিশেষ ফুল দিয়ে

পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, দেব সেনাপতি কার্তিক হলেন শিব ও দুর্গার কনিষ্ঠ সন্তান। বৈদিক শাস্ত্র অনুসারে, কার্তিক মাসেই কার্তিক পুজো (Kartik Puja) করা হয়। প্রায় প্রত্যেক বাঙালিদের ঘরে ঘরেই সন্তানের সুখ-সমৃদ্ধির জন্য এই পুজো করা হয়ে থাকে। আবার কেউ কেউ সন্তান লাভের জন্য পুজো করেন। এ বছর কার্তিক পূজা (Karthik Puja) পড়েছে, ১৬ই নভেম্বর শনিবার। অর্থাৎ হাতে আর বেশিদিন সময় নেই। তবে কার্তিক পুজোর (Kartik Puja) দিন সন্তানের মঙ্গল কামনা এবং আয়ু বৃদ্ধির জন্য মায়েরা করুন এই বিশেষ কাজ। এমনকি সন্তান লাভের জন্য প্রভুর পায়ে বিশেষ ফুল নিবেদন করতে ভুলবেন না যেন।

কার্তিক পুজোর (Kartik Puja) দিন কি কি করবেন দেখুন:

১) রক্তকরবী ফুল: কার্তিক পুজোর (Kartik Puja) দিন অবশ্যই এই বিশেষ ফুল নিবেদন করুন। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে বাবা কার্তিকের অত্যন্ত প্রিয় ফুল হচ্ছে রক্তকরবী। তাই পুজোর দিন মায়েরা কিংবা সদ্য বিবাহিত স্ত্রীরা এই ফুল নিবেদন করুন প্রভুর পায়ে। দেখবেন আপনার সন্তান হেসে খেলে মানুষ হচ্ছে। আপনার সন্তানের জীবন থেকে কেটে গিয়েছে সমস্ত বাধা-বিপত্তি।

২) পদ্ম: পদ্মকে অত্যন্ত পবিত্র এবং শ্রীফুল বলে গণ্য করা হয়। যেকোনো পূজোতেই পদ্মফুল ব্যবহার করা হয়। তাই পুজোর দিন রক্তকরবীর পাশাপাশি পদ্ম ফুল দিতেও ভুলবেন না যেন। পদ্ম ফুলের পবিত্রতায় আপনার সন্তানের জীবন হবে কাঁটাবিহীন।

আরও পড়ুন : দুর্দান্ত স্যালারি! অবিশ্বাস্য সুযোগ দিচ্ছে কল্যাণী AIIMS, ইন্টারভিউয়ে বসবেন কিভাবে?

৩) বাঁশি, তীর, ধনুক ও ময়ূরের পালক: পুজোর সময় দেবতার মূর্তির পাশে বাঁশি, তীর-ধনুক ও ময়ূরের পালক রেখে দিন। এই বিশেষ জিনিসগুলো কার্তিক ঠাকুরের অত্যন্ত কাছের। বিশেষ করে তীর-ধনুক এবং ময়ূরের পালক প্রভুর সর্বক্ষণের সঙ্গী। তাই বলা হয় এই জিনিসগুলি দিলে বাবা কার্তিক হন মহা প্রসন্ন। আর হ্যাঁ, পুজোয় ব্যবহৃত সেই ময়ূরের পালক আপনার সন্তানের পাঠ্য বইয়ের ভাঁজে রেখে দিতে পারেন। এতে করে পড়াশোনায় উন্নতি হয়, পাশাপাশি মনোযোগ বাড়ে।

৪) তুলসী গাছের পুজো: হিন্দু ধর্মে তুলসী গাছের বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। যেকোনো কাজ শুরু করার আগে তুলসী দেবীকে পুজো দিয়েই শুরু করা হয়। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে তুলসী হচ্ছেন দেবী লক্ষ্মীর অপর আরেক রূপ। সে ক্ষেত্রে দেখতে গেলে তুলসী হচ্ছে কার্তিক ঠাকুরের দিদি। তাই এদিন তুলসী পূজো করলে মা লক্ষ্মী তুষ্ট হন পাশাপাশি বাবা কার্তিকেও খুশি করা যায়।

Flower

৫) পায়েস ভোগ: কথিত আছে কার্তিক পূজোর (Kartik Puja) দিন পায়েস ভোগ নিবেদন করা নাকি অত্যন্ত শুভ। প্রভুর অত্যন্ত প্রিয় খাবার হচ্ছে এই পায়েস। তাই ভোগে পায়েস নিবেদন করলে বাবা কার্তিক দুহাত খুলে আশীর্বাদ দেন।

৬) খেলনা: বাচ্চাদের যেমন খেলনা দেওয়া হয় তেমনি কার্তিক পুজোতেও (Karthik Puja) খেলনা দেওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ মায়েদের কাছে কার্তিক ঠাকুর হচ্ছে সন্তানের সমান। তাই এই দিন পুজোর স্থানে খেলনা রাখা আবশ্যক।


Sunanda Manna
Sunanda Manna

সুনন্দা মান্না, বাংলা হান্টের স্ক্রিপ্ট রাইটার। গুরুদাস কলেজ থেকে সাংবাদিকতা করার পর থেকেই সংবাদ মাধ্যমে কাজ শুরু। দেশ থেকে বিদেশ, রাজনীতি, বিনোদন বিভিন্ন তথ্যই আপনাদের কাছে তুলে দেওয়া আমার মূল লক্ষ্য।

সম্পর্কিত খবর