বাংলাহান্ট ডেস্কঃ দেবাদিদেব মহাদেব এবং দেবী পার্বতীর চার ছেলে মেয়ের মধ্যে সুদর্শন এবং সুপুরুষ হলেন দেব কার্তিক (Kartik)। শিবের মতো বর প্রার্থনা করলেও, মহিলারা কিন্তু সকলেই চায় তাঁর যেন কার্তিকের মতো এক ফুটফুটে, সুদর্শন পুত্র হয়। দেবী দূর্গার পূজার কিছুদিন পরেই করা হয় কার্তিক পূজো। বিশেষত সন্তান লাভের আশায় ভক্তরা কার্তিক দেবের পূজা করে থাকেন।
সুদর্শন দেবতা কার্তিকের জন্ম রহস্যে জানা যায়, ব্রহ্মার বরে তাঁর জন্ম হয়েছিল। মহাবলী তারকাসুরকে যখন কোন দেবতাই কুপোকাত করতে পারছিলেন না, তখন জন্ম হয় দেবতা কার্তিকের। এই তারকাসুরকে বধ করার পর দেবকুলে কার্তিককে দেবসেনাপতি হিসাবে নির্বাচন করেন। তাই কার্তিক মাসের শেষ দিনে মহাসমারহের সহিত পূজো করা হয় কার্তিক ঠাকুরেরে।
আবার নিঃসন্তান দম্পতি কিন্তু সন্তান লাভের আশায় পূজো করে থাকেন কার্তিক ঠাকুরের। প্রচলিত আছে কোন দম্পতির যদি সদ্য সদ্য বিয়ে হয়েছে বা বিয়ের এক বছর হয়ে গেছে, তা সত্ত্বেও তাঁদের কোন সন্তান হয়নি, তখন তাঁদের পাড়া প্রতিবেশি বা বন্ধু বান্ধবেরা তাঁদের বাড়ির গেটের সামনে বা দরজার সামনে গোপনে একটা কার্তিক ঠাকুর রেখে আসে। এই ঠাকুরের মুখটা থাকে পেপার দিয়ে মোরানো থাকে। এবং ঠাকুররে গায়ে কাগজ দিয়ে এক মজার ছড়া লিখে দেন। কিছুটা মজার ছলেই তাঁরা এই কাজ করে থকেন। এমনকি ঠাকুরের গায়ে তাঁর দামও লিখে দেওয়া হয় মজা করে। এরপর ঠাকুর প্রাপ্ত দম্পতি সেই ঠাকুরকে তাঁদের ঘরে নিয়ে গিয়ে পূজো করেন এবং ঠাকুরের দাম তাঁদের দিয়ে দেন। ফল স্বরূপ কার্তিক ঠাকুরের বরে সেই দম্পতি কিছুদিনের মধ্যেই সন্তান লাভের সুখ ভোগ করেন।
কার্তিক ঠাকুর কিন্তু চিরকুমার। তবে পুরাণ মতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে তাঁর বিয়ের উল্লেখও পাওয়া যায়। এইভাবে বিভিন্ন প্রান্তের হিন্দু মহিলারা সন্তান লাভের আশায় নিয়ম মেনে কার্তিক পূজো করে থাকেন। এবং কার্তিক ঠাকুরের আশির্বাদে তাঁরা খুব তাড়াতাড়ি সন্তান লাভের সুখ উপভোগ করেন।