চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি! সেই ‘রগচটা’ SI রিটনের রয়েছে আরও কীর্তি! বিতর্কে জড়াতেই ‘ফাঁস’ সব

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি! বুধবার থেকেই সংবাদের শিরোনামে রয়েছেন কসবা থানার (Kasba Police Station) সাব ইনস্পেক্টর রিটন দাস। তাঁর এই কাজের নিন্দা করেছেন সমাজের প্রায় সর্বস্তরের মানুষ। খোদ কলকাতার (Kolkata Police) পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা মেনে নিয়েছেন, চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি মারা উচিত হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি। এই আবহে সামনে এল বিতর্কিত এসআইয়ের (Sub Inspector) পুরনো নানান কীর্তি।

এর আগেও বিতর্কে জড়িয়েছেন এই পুলিশ (Kolkata Police) আধিকারিক!

পুলিশ মহল সূত্রে খবর, চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি মারায় অভিযুক্ত এসআই দক্ষিণ ২৪ পরগণার গোসাবার বাসিন্দা। আমহার্স্ট স্ট্রিট সিটি কলেজের ছাত্র ছিলেন মধ্য চল্লিশের রিটন। স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে এই পুলিশ কর্মীর। তবে অল্পতেই নাকি মাথা গরম হয়ে যায় তাঁর! যে কারণে অতীতেও বিতর্কে জড়িয়েছেন।

জানা যাচ্ছে, একবার তদন্ত সূত্রে শিলিগুড়ির একটি ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন রিটন। সেখানে তাঁকে বেশ কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়। তাতেই নাকি চটে যান এই পুলিশ (Kolkata Police) আধিকারিক। ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের সঙ্গে গণ্ডগোল শুরু করে দেন। এমনকি ব্যাঙ্কের কর্মচারীদের ভয় দেখানো, গ্রেফতারির হুমকি দেন বলেও অভিযোগ।

আরও পড়ুনঃ সরকারি ও সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠানে হঠাৎ ছুটি ঘোষণা! বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন

এহেন আচরণের কারণে দীর্ঘদিন রিটনকে থানায় ডিউটি দেওয়া হয়নি বলে খবর। এর পরিবর্তে নাকাচেকিং সহ রাস্তার নানান ডিউটি দেওয়া হতো। তবে সেখানেও বিতর্কে জড়ান এই পুলিশ আধিকারিক। গাড়ি চালকদের সঙ্গে নাকি প্রায়শয়ই ঝামেলায় জড়াতেন তিনি। ফলে সম্প্রতি ফের তাঁকে থানার ডিউটিতে ফেরানো হয়। এই আবহেই চাকরিহারা শিক্ষককে (School Teacher) লাথি মেরে বিতর্কে জড়ালেন এই পুলিশ আধিকারিক।

Kolkata Police officer who kicked SSC recruitment scam jobless teachers

তবে জানা যাচ্ছে, ‘রগচটা’ স্বভাব হলেও তদন্তকারী অফিসার হিসেবে রিটন বেশ ভালো। এই নিয়ে পুলিশ মহলে তাঁর বেশ সুনাম রয়েছে। এর আগে আমহার্স্ট স্ট্রিট থানায় থাকাকালীন একটি খুনের মামলা সমাধান করেছিলেন তিনি। এছাড়া একটি অভিজাত আবাসনে হাইপ্রোফাইল একটি চুরির ঘটনাতেও পাঞ্জাবের জলন্ধর থেকে অভিযুক্তকে ধরে এনেছিলেন রিটন।

এদিকে চাকরিহারা শিক্ষককে লাথি মারা এই সাব ইনস্পেক্টরের হাতেই আবার চাকরিহারাদের বিরুদ্ধে মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছিল (Kolkata Police)। যা নিয়ে দেখা দেয় নয়া বিতর্ক। শেষমেষ রিটনকে তদন্তভার থেকে সরিয়ে আরেক সাব ইনস্পেক্টর সঞ্জয় সিংকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়।

Sneha Paul

স্নেহা পাল, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়াকালীন সাংবাদিকতা শুরু। বিগত ২ বছর ধরে বাংলা হান্ট-এর কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিযুক্ত। রাজনীতি থেকে বিনোদন, ভাইরাল থেকে ভ্রমণ, সব ধরণের লেখাতেই সমান সাবলীল।

X