বাংলাহান্ট ডেস্ক : অভিশপ্ত তারিখটার পর থেকে দশ দিন অতিক্রান্ত। এখনও মন থেকে আতঙ্ক যাচ্ছে না পহেলগাঁও হামলার (Kashmir Attack) প্রত্যক্ষদর্শীদের। চোখের সামনে এখনও ভেসে উঠছে সেদিনের, ঘটনার সময়কার দৃশ্যগুলি। চোখের সামনেই প্রিয়জনদের মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ড দেখে শোকে পাথর হয়ে গিয়েছিলেন অনেকেই। তবে এখন ধীরে ধীরে মনে পড়ছে বেশ কিছু টুকরো টুকরো ঘটনা যা সন্দেহ উদ্রেক করার জন্য যথেষ্ট। পহেলগাঁও হামলায় (Kashmir Attack) নিহত হয়েছেন কানপুরের শুভম দ্বিবেদী। স্ত্রী ঐশ্বন্যার চোখের সামনেই জঙ্গিরা গুলি মেরেছে তাঁর স্বামীকে। এখন ধীরে ধীরে এমন কিছু বিষয় মনে পড়ছে ঐশ্বন্যার যা সেই মুহূর্তে তিনি খেয়াল করেননি। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে সেগুলি আতঙ্ক তৈরি করার জন্য যথেষ্ট।
কাশ্মীরে হামলাকারীদের (Kashmir Attack) অস্ত্র সাপ্লাই করে শাল-ঘোড়াওয়ালারাই?
পহেলগাঁও হামলার (Kashmir Attack) তদন্ত শুরু হতে ভারতীয় গোয়েন্দারা মনে করছেন, স্থানীয় কেউ বা কারা ওই হামলায় সহায়তা করেছিল জঙ্গিদের। সেই সন্দেহকে আরো উসকে দিয়ে ঐশ্বন্যার চাঞ্চল্যকর দাবি, জঙ্গিরা সঙ্গে করে অস্ত্র নিয়ে আসেনি। ওখানেই সম্ভবত শালওয়ালা বা ক্যামেরাওয়ালারা তাদের অস্ত্র সরবরাহ করেছিল। ঐশ্বন্যা জানান, হামলাকারীরা (Kashmir Attack) সাধারণ জিন্স পরেছিল। তাদের কাছে কোনো অস্ত্র ছিল না। অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল ওখানেই।
হামলার দিনের কথা জানালেন শুভমের স্ত্রী: সংবাদ মাধ্যমের কাছে ঐশ্বন্যা এমন অনেক বিষয়ই উল্লেখ করেছেন যা তিনি আগে পাত্তা দেননি বা তাঁর খটকা লাগেনি। কিন্তু এখন তাঁর শুধুই সন্দেহ দানা বাঁধছে। তিনি বলেন, হামলা (Kashmir Attack) হওয়ার আগে পর্যন্ত কাশ্মীরে নিরাপদই বোধ করছিলেন তাঁরা। চারপাশে এত পর্যটকের ভিড়েও তলায় তলায় যে এমন ষড়যন্ত্র হয়ে রয়েছে তা মনেও আসেনি।
আরো পড়ুন : পদক্ষেপ আরো কড়া, মাহিরা-হানিয়া সহ একগুচ্ছ পাক শিল্পীর ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট বন্ধ ভারতে
স্থানীয়দের কথায় জাগছে সন্দেহ: নিহত শুভমের স্ত্রী জানান, উপরে ওঠার সময় একটু একটু দূরত্বে ভারতীয় সেনা জওয়ানদের দেখতে পাচ্ছিলেন তাঁরা। আশপাশের মানুষদের কোনো কথাতেই তখন খটকা লাগেনি। কিন্তু এখন ঐশ্বন্যা জানান, তারা জিজ্ঞাসা করেছিল সঙ্গে কে কে আছে। এমনকি জোড়ায় জোড়ায় চলার কথাও বলেছিল। ঐশ্বন্যা জানান, একজন লোক উপত্যকায় (Kashmir Attack) একাই ভেড়া চড়াচ্ছিল। সম্পূর্ণ ঢাকা পোশাক পরেছিল সে। এত বড় মাঠে কেনই বা একা ভেড়া চড়াচ্ছিল, ওই পোশাকের আড়ালে কিছু লুকানো ছিল কিনা তা নিয়েও এখন সন্দেহ হচ্ছে তাঁর।
আরো পড়ুন : খ্যাতির শীর্ষে থাকতেই গায়েব আচমকা, ১০ বছর পর সিরিয়ালে ফিরছেন ‘বাহা’ রণিতা
সংবাদ মাধ্যমকে ঐশ্বন্যা জানান, তাঁর পরিবারের লোকেরা উপরে যেতে চাইছিল না। কিন্তু ঘোড়ার মালিকই জোর করে, বলে উপরে খুব সুন্দর। এমনকি ঐশ্বন্যার শ্বশুর যখন বলেন যে পুরো টাকা নিয়ে নিতে, কিন্তু তাঁরা উপরে যাবেন না। তখন ঘোড়ার মালিক বলেছিল, টাকার কোনো ব্যাপার নেই। এই বিষয়গুলি এখন সন্দেহ জাগাচ্ছে ঐশ্বন্যার মনে। তিনি এও জানান, উপরে ওঠার আগে নিহত শুভম জিজ্ঞাসা করেছিলেন, উপরে নেটওয়ার্ক আছে কিনা। তখন ঘোড়ার মালিক বলেছিল, পুরো নেটওয়ার্ক আছে। একবার যদি সে বলত যে নেটওয়ার্ক নেই, তাহলে তাঁরা যেতেন না, আফসোস ঐশ্বন্যার।