বাংলা হান্ট ডেস্ক: এবার নিরাপত্তা ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলি পহেলগাঁওতে (Kashmir Attack) ভয়াবহ হামলার সাথে যুক্ত সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের স্কেচ প্রকাশ করেছে। তাদের নাম আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা বলে জানা গেছে। গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে যে এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হলেন লস্কর-ই-তৈবার ডেপুটি চিফ সাইফুল্লাহ খালিদ।
উপত্যকায় ভয়াবহ হামলা (Kashmir Attack):
এদিকে, লস্কর-ই-তৈবার শাখা দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট অর্থাৎ TRF এই হামলার (Kashmir Attack) দায় স্বীকার করেছে। অন্যদিকে, পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাজা আসিফ বলেছেন যে, এই হামলায় তাঁদের কোনও হাত নেই।
জানিয়ে রাখি, গত মঙ্গলবার বিকেলে পহেলগাঁওতে সন্ত্রাসবাদী হামলায় (Kashmir Attack) ২৭ জন প্রাণ হারান। অপরদিকে ২০ জনেরও বেশি আহত হয়েছেন। এই হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটে যখন বৈসরান উপত্যকায় বিপুল সংখ্যক পর্যটক উপস্থিত ছিলেন। মৃতদের মধ্যে উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, কর্ণাটক, তামিলনাড়ু এবং ওড়িশার পর্যটক রয়েছেন। এছাড়াও, নেপাল ও সংযুক্ত আরব আমিরশাহীর একজন করে পর্যটক এবং ২ জন স্থানীয় নাগরিকও নিহত হয়েছেন।
উল্লেখ্য যে, ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ তারিখে পুলওয়ামা হামলার পর এটি জম্মু ও কাশ্মীরে সবচেয়ে বড় হামলা (Kashmir Attack) হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। পুলওয়ামায় সিআরপিএফ কনভয়ে আত্মঘাতী হামলা হয় যেখানে ৪০ জন জওয়ান শহিদ হন। জইশ-ই-মোহাম্মদ ওই হামলার দায় স্বীকার করেছিল।
সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের স্কেচ প্রকাশ করা হয়েছে: নিরাপত্তা সংস্থাগুলি পহেলগাঁও হামলার সন্দেহভাজন সন্ত্রাসবাদীদের স্কেচ প্রকাশ করেছে। সংস্থাগুলির মতে, আসিফ ফৌজি, সুলেমান শাহ এবং আবু তালহা এই হামলায় জড়িত ছিল। তবে, কার ছবি কোনটি তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আরও পড়ুন: ১২,০০০ কোটির বিনিয়োগ, ৫,০০০ চাকরি! এই শহরে তৈরি হবে ভারতের প্রথম টেলিকম ম্যানুফ্যাকচারিং জোন
গোয়েন্দারা কী জানিয়েছে: গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, পহেলগাঁও হামলায় (Kashmir Attack) ২ জন বিদেশি সন্ত্রাসবাদী এবং ২ জন স্থানীয় সন্ত্রাসবাদী জড়িত ছিল। সূত্র জানিয়েছে, এই হামলার মূল পরিকল্পনাকারী হল সাইফুল্লাহ খালিদ। যে পাক অধিকৃত কাশ্মীর (POK) থেকে পরিকল্পনা পরিচালিত করে। তবে, তার নির্দিষ্ট অবস্থান রাওয়ালকোট বলেও জানা গেছে। সাইফুল্লাহ এক মাস আগে আক্রমণের বিষয়ে সতর্ক করেছিল। এদিকে, ২০১৯ সালের তার একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল। ওই ভিডিওতে, সাইফুল্লাহ জানায় যে কাশ্মীর সমস্যাটিকে ঠান্ডা হতে দেওয়া উচিত যাবে না।