বাংলাহান্ট ডেস্ক : কাশ্মীরের ঘটনায় (Kashmir Attack) দেশ জুড়ে ছড়িয়েছে ক্ষোভের আগুন। পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ উপত্যকায় ঘুরতে গিয়ে জঙ্গি হামলার শিকার হন পর্যটকরা। রীতিমতো তাদের নাম জিজ্ঞাসা করে তারপর গুলি মারা হয়। আনন্দের কাশ্মীর টুর আচমকাই পরিণত হয় হাহাকারে। তবে মৃতদের তালিকার মাঝে একজন মুসলিমদের নামও জ্বলজ্বল করেছে। একদিকে যখন দুই কাশ্মীরি দেশেরই মানুষদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের (Kashmir Attack) পথ বেছে নেয়, সেখানে ব্যতিক্রমী আদিল হুসেন শাহ পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে নিহত হন নিজে।
কাশ্মীর হামলায় (Kashmir Attack) পর্যটকদের বাঁচাতে গিয়ে নিহত আদিল
পহেলগাঁওয়ের এক দরিদ্র পরিবারের ছেলে ছিলেন আদিল। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে। অন্যান্য দিনের মতো ঘটনার দিনও ঘোড়া নিয়ে গিয়েছিলেন বৈসরণ উপত্যকায়। কিন্তু সেখানে যে এত বড় ষড়যন্ত্র ওঁত পেতে রয়েছে তা বুঝতে পারেননি। দুপুর সাড়ে তিনটে নাগাদ শুরু হয় হত্যালীলা। চোখের সামনে পর্যটকদের (Kashmir Attack) দিকে জঙ্গিদের বন্দুক উঁচিয়ে ধরতে দেখে পিছিয়ে যেতে পারেননি আদিল।
জঙ্গিদের গুলিতে নিহত আদিল: ছুটে যান তিনি পর্যটকদের বাঁচাতে। একজন জঙ্গির থেকে বন্দুক ছিনিয়ে নিতে যান আদিল। তখনই হাতাহাতিতে বন্দুকের গুলিতে মৃত্যু হয় তাঁর। মৃত্যুর আগে পরিবারের সঙ্গে একবারও কথাও বলতে পারেননি আদিল। তাঁকে ফোনে পাওয়াও যায়নি। কারণ ওই উপত্যকা নেটওয়ার্কের বাইরে।
কী জানালেন আদিলের বাবা: বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ যখন আদিলের ফোনে রিং হয়, পরিবার ভেবেছিল হয়তো তিনি ফিরে আসছেন উপত্যকা (Kashmir Attack) থেকে। কিন্তু সন্ধ্যা সাড়ে ছটা নাগাদ আসে সেই খবর। নিহত আদিল, পর্যটকদের বাঁচানোর চেষ্টা করতে গিয়ে নিজে জঙ্গিদের মুখে পড়েন তিনি। আদিলের অবর্তমানে কীভাবে চলবে পরিবার, তা জানে না কেউ। কিন্তু তাঁর বাবা জানান, ছেলের জন্য গর্বিত তিনি।
আরো পড়ুন : কলকাতায় থেকে-খেয়ে রোজগার করলেও দেননি করের টাকা, এবার বড় পদক্ষেপ নিল পুরসভা, ঘুম উড়ল অনেকের
এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে আদিলের বাবা জানান, ছেলের জন্য গর্বই এখনও বাঁচিয়ে রেখেছে তাঁকে। নয়তো নিজের জোয়ান ছেলের মৃতদেহ দেখে তিনিও বাঁচতেন না। তাঁর কথায়, “ও যে নিজের প্রাণ দিয়েও কিছু মানুষকে বাঁচিয়েছে সেটা জেনেই আমার মাথা উঁচু হয়ে যাচ্ছে গর্বে”।