বাংলাHunt :
ভারতবর্ষের অন্যতম নিত্যদিনের অশান্তির রাজ্য কাশ্মীর। যে কাশ্মীর কে কেন্দ্র করে সাম্প্রতিক একাধিকবার উত্তাল হয়েছে গোটা ভারত। গত কয়েক বছরে ভারতীয়দের উপর আঘাত এনেছে পাকিস্তান এবং পরে জানা গেছে যে কাশ্মীরের বসবাসকারী ভারতীয়রা তাদেরকে সাহায্য করেছে পরোক্ষভাবে। সাম্প্রতিক উরি,পুলওলামা,বালাকোট যে জঙ্গিহানা হয়েছে সেই জঙ্গিহানা সাথে যুক্ত থেকেছে একাধিক কাশ্মীর বিশেষ সম্পদায়েক মানুষ।
তারা সব সময় ভারতের বিপক্ষে কথা বলে পাকিস্তানকে সমর্থন করেছে কিন্তু এবার হয়তো ইতি টানতে চলেছে ভারত সরকার। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে প্রায় দশ হাজার সৈন্যকে কাশ্মীরের বিভিন্ন গ্রামে রয়েছে। এছাড়া যদি কোন সন্দেহভাজন ব্যক্তি থাকে তাহলে তাদেরকে আটক করা হচ্ছে এবং সিসিটিভি লাগিয়ে নজর রাখা হয়ছে। পরিচয় পত্র দেখা হচ্ছে বিভিন্ন চেকপোষ্টে প্রতিটি মুহূর্তে গাড়ি কে থামিয়ে নাকা তল্লাশি করা হচ্ছে। এখন দেখার বিষয় কাশ্মীরে যে অশান্তি চলছে তা সত্যিই বন্ধ হয় কিনা?
ভারতবর্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন কাশ্মীরের শান্তি ফিরে আসবে এবং যারা কাশ্মীর থেকে পাকিস্তানকে সমর্থন করবে তাদেরকে ভারত ছাড়া হতে হবে। আসামে এনআরসির ফলে একাধিক বহিরাগত ভারত ছাড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে এবং পার্লামেন্টে দাঁড়িয়ে অমিত সাহ দাবি করেছেন সারা ভারতে এনআরসি চালু হবে। যদি এনআরসি চালু হয় তাহলে কাশ্মীরে একাধিক মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ কে ভারত ছাড়া হতে পারে। শুধু তাই নয় তাদের উপর বিশেষ নজর রাখা হচ্ছে যারা দেশের মধ্যে থেকে দেশ বিরোধী কথাবার্তা বলছে। কাশ্মীরে এই মুহূর্তে একাধিক ধারা জারি রয়েছে। ফলে যে সব ব্যক্তিরা পাথর ছুড়তো তারা পাথর ছোঁড়া কিছুটা হল বন্ধ করেছে কারণ সরকারের কঠোর মনোভাব নিয়েছে। রাজ্য রাজনীতির অন্যতম বিষয় কাশ্মীরকে যদি শান্ত হতে পারে তাহলে দেশের অধিকাংশ দেশবিরোধী কথা বলা মানুষরা সচেতন হবেন।
এখন দেখার বিষয় কাশ্মীরে কবে শান্তি ফিরবে কিন্তু সাম্প্রতিক যে একাধিক উদাহরণ উঠে আসে তাতে আগের থেকে অনেক শান্ত কাশ্মীর এবং এ বছরই বিশেষভাবে নজর দেওয়া হচ্ছে কাশ্মীরে। প্রতিটি পরিবারকে জাতীয় পতাকা তুলতে হবে ১৫ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন। সেই দিনকে তাদের জাতীয় পতাকা তুলতে হবে বলে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যদি কোন ব্যক্তি বা কোন পরিবার তা অমান্য করে তাহলে তাদের উপর বিশেষ নজর রাখা হবে বলে জানা গেছে।